ওয়াশিংটন: দূর হচ্ছে দারিদ্র্য, কোভিড পরিস্থিতির ধাক্কাও সামলে নিয়েছে ভারত। তাই এটাই ভারতে বিনিয়োগের আদর্শ সময়। মার্কিন মুলুকে উদ্যোগপতিদের এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত যে বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও বেশি উপযোগী হয়ে উঠেছে, সেই বর্ণনাই দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের তৃতীয় দিনে ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্যাটেজিক পার্টনারস ফোরাম-এর তরফে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে বক্তব্য় পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁর বক্তব্য বুঝিয়ে দিয়েছে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে কতটা তৎপর তিনি।
গত কয়েকদিনে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একাধিক চুক্তি হয়েছে, সে কথা উল্লেখ করে মোদী উদ্যোগপতিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে বার্তা একেবারে স্পষ্ট- এটাই সময়।’ উদ্যোগপতিরা যাতে ভারতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ভারতে উদ্য়োগপতিদের অবাধ সুযোগ। বারবার এটা তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন মোদী। তিনি বলেন, ‘যা প্রয়োজন সেটা আমরা ভবিষ্যতে করব। তবে আপাতত উদ্য়োগপতিদের কাছে মুক্তাঙ্গন ভারত।’ ভারত সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কতটা তৎপর সে কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘আপনারা ভারতে বিরাট সুযোগ পাবেন।’
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে, তখনও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কার করা হচ্ছে। বিনিয়োগ করলে যে উদ্যোগপতিরা লাভবান হবেন, সে কথা বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভারতে অতি দরিদ্রের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, নব্য মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের আয়তনে ক্রমশ বাড়ছে। তিনি জানিয়েছেন, ভারতে অসামরিক বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রেও বাড়ছে চাহিদা।
একদিন আগেই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদী, যোগ দিয়েছেন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনেও। গত তিনদিনে ভারত ও আমেরিকা যে একের পর এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।