স্বপ্ন পূরণ নমোর, ওড়াকান্দির মন্দিরে প্রধানমন্ত্রীর সফরে আপ্লুত মতুয়ারাও

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 27, 2021 | 6:03 PM

মতুয়া মন্দিরে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেন, "শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর একদিকে যেমন ভালবাসার বার্তা দিয়েছেন, তেমনই আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কেও বুঝিয়েছেন। তাঁর উত্তরসূরি গুরুচাঁদ ঠাকুরও সাধারণ মানুষের কাছে হরিচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষাকে পৌঁছে দেওয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।"

স্বপ্ন পূরণ নমোর, ওড়াকান্দির মন্দিরে প্রধানমন্ত্রীর সফরে আপ্লুত মতুয়ারাও
ওড়াকান্দিতে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি:PTI

Follow Us

ওড়াকান্দি: আট বছর বাদে স্বপ্ন পূরণ হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র। ২০১৫ সালে যখন বাংলাদেশে (Bangladesh) গিয়েছিলেন, তখনই ওড়াকান্দির মতুয়া মন্দিরে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় যেতে না পারলেও এবারের বাংলাদেশ সফরে নিজের স্বপ্নপূরণ করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও আজকের দিনটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মন্দির ভ্রমণের জন্যই তুলে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল বেলাই যশোশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন নমো। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। গোটা বিশ্বের করোনামুক্তির প্রার্থনাও করেন তিনি।

এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দুই দেশের মধ্যে সৌভাতৃত্ব বাড়াতে তিনি একটি চারাগাছ তুলে দেন নরেন্দ্র মোদীর হাতে, বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের বাগানেই সেই চারাগাছ রোপণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: Assam Election 2021 phase 1 voting Live: অসমেও শুরু প্রথম দফার নির্বাচন, ৭১ শতাংশ ভোট পড়ল বিকেল ৫টা অবধি

এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৌঁছে যান ওড়াকান্দি মন্দিরে (Orakandi Temple)। সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতিমূর্তিতে প্রণাম করেন তিনি। কথা বলেন মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই নিজেদের সার্বিক উন্নতির মাধ্যমে গোটা বিশ্বের উন্নতি দেখতে চায়। অস্তিরতা, সন্ত্রাসবাদ ও অশান্তির বদলে দুই দেশই সুস্থিরতা, ভালবাসা ও শান্তিকেই প্রাধান্য দিতে চায়।”

মতুয়া মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী। ছবি:PTI

করোনা পরিস্থিতিতে এটিই প্রথম বিদেশ সফর প্রধানমন্ত্রীর। করোনাকালেও দুই প্রতিবেশী দেশ যেভাবে লড়াই চালিয়েছে, তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাস প্যানডেমিকের সময় ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। বর্তমানে দুই দেশই একসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ভারতে তৈরি করোনা ভ্যাকসিনকে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়াকে নিজেদের কর্তব্য মনে করি আমরা।”

মতুয়া মন্দিরে সফর প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর একদিকে যেমন ভালবাসার বার্তা দিয়েছেন, তেমনই আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কেও বুঝিয়েছেন। তাঁর উত্তরসূরি গুরুচাঁদ ঠাকুরও সাধারণ মানুষের কাছে হরিচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষাকে পৌঁছে দেওয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। দলিত সমাজকে সংবদ্ধ করতেও কাজ করেছেন তিনি। গুরুচাঁদজী আমাদের জ্ঞান, কর্তব্য ও শ্রদ্ধার শিক্ষা দিয়েছেন।”

ওড়াকান্দি মন্দিরের কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রতিবছর বারুণী স্নান উৎসবের সময় মতুয়া সম্প্রদায়ের ভাইবোনেরা ওড়াকান্দিতে আসেন।” মতুয়া সম্প্রদায়ের তরফেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতে খুশি প্রকাশ করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী যে এখানে এসেছেন, তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি ও গর্বিত। এরজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাকি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে একাধিক মউ সাক্ষর হতে পারে বলেও অনুমান।

আরও পড়ুন: ‘কোভিশিল্ডে’র পর ‘কোভোভ্যাক্স’, সেরামের নতুন ভ্যাকসিনের শুরু হল ট্রায়াল

Next Article