ওয়ারস : গতকালই ন্যাটোভুক্ত হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিল ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এরপরই এদিন ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এই দুই দেশের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। তিনি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তারা ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আগে তাদের উপর আক্রমণ করা হলে পোল্য়ান্ড তাদের সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। কিন্তু ইউক্রেনীয়দের এই ইচ্ছা মেনে নিতে পারেনি ভ্লাদিমির পুতিন। এর জেরেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তারপর প্রায় তিনমাস ধরে চলছে সেই যুদ্ধ। এত রক্তক্ষয়ের পরও বন্ধ হয়নি যুদ্ধ। এই আবহে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির আবেদনের মধ্যে দিয়ে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর এই সম্প্রসারণ ভাল চোখে দেখতে নাও পারেন পুতিন। ইউক্রেনের মতো এই দুই দেশেও আক্রমণ চালানোর সম্ভবনার কথা মাথায় রেখেই এদিন পোল্যান্ড পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।
একটি কনফারেন্সে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউজ় মোরাউইকি (Mateusz Morawiecki) বলেছেন, ‘ইউরোপে নিরাপত্তা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হল ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া।’ এই কনফারেন্স চলাকালীনই তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই ন্যাটোতে যোগদানের প্রক্রিয়া চলাকালীন সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের উপর কোনও আক্রমণ করা হলে পোল্যান্ড তাদের সাহায্য় করবে।’ গতকাল ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের থেকে আনুষ্ঠানিক আবেদন পত্র হাতে পেয়ে স্টোল্টেনবার্গ বলেন, ‘ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের অনুরোধকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।’ ন্যাটো প্রধান এদিন আরও বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি একটি ভালো দিন।’
আপাতত দুই দেশের আবেদন এখন ন্যাটোর ৩০ সদস্য দেশ খুটিয়ে দেখবে। যোগদানের নিয়ম অনুযায়ী ৩০টি দেশকেই এই অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুমোদন দিতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ইতিমধ্যেই ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যোগদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।