Vladimir Putin: ১০টির বেশি সন্তান থাকলে মা’কে টাকায় মুড়ে দেবে সরকার!

Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়ান রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডঃ জেনি ম্যাথার্স টাইমস রেডিয়োতে হেনরি বোনসুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন।

Vladimir Putin: ১০টির বেশি সন্তান থাকলে মা'কে টাকায় মুড়ে দেবে সরকার!
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 3:13 PM

মস্কো: রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে আগ্রহের কোনও শেষ নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। এবার মহিলাদের জন্য এক বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশের যেসব মহিলা ১০টি বা তাঁর বেশি সন্তানের জন্ম দেবেন তাঁকে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ সাহায্য করা হবে। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশে তৈরি হওয়া জনসংখ্যা সংকট পুনরুদ্ধার জন্য পুতিন সরকারের পক্ষ থেকে এই অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ বা তাঁর বেশি সন্তানকে জন্ম ও তাঁদের লালন পালন করলে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ১৩ হাজার ৫০০ পাউন্ড অথবা ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করা হবে, রুশ প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

রাশিয়ান রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডঃ জেনি ম্যাথার্স টাইমস রেডিয়োতে হেনরি বোনসুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। পুতিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের নাম ‘মাদার হিরোইন’ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কারণে রাশিয়ায় জনসংখ্যা কমছে, দেশের জনসংখ্যা পুনরুদ্ধারে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। মার্চ মাসে সেদেশে রেকর্ড সংখ্যক নাগরিকের করোনা আক্রান্ত হওয়া এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ হাজার সেনা জওয়ানের মৃত্যু হওয়ার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এই পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ম্যাথার্স জানিয়েছেন, পুতিন সব সময় বলে থাকেন, যাঁদের পরিবার বড় তাঁরা অনেক বেশি দেশপ্রেমী। অন্যদিকে বোনসু জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জনসংখ্যার যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, রুশ মহিলাদের এককালীন এই টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।

ম্যাথার্স জানিয়েছেন, জনসংখ্যা পুনরুদ্ধারে পুতিন বদ্ধ পরিকর, সেই কারণে ১৯৯০ সালে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছে, করোনা ও যুদ্ধের কারণে দেশের জনসংখ্যার হ্রাস হয়েছে। সেই কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, ন্যাটোতে অন্তভুক্তি নিয়ে বিরোধের জেরে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪ তারিখ অতর্কিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করে রুশ সেনাবাহিনী। প্রায় ছ’মাস কেটে গেলেও এখনও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। এই যুদ্ধ পরিস্থিতি আগামী দিনে কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।