লন্ডন: মাত্র দুই দিন আগেই রানির হাত থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন লিজ ট্রাস। ঠিক তার পরই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণের খবর পেতেই শোকস্তব্ধ সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লিজ় ট্রাস। বৃহস্পতিবার বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে রানির প্রয়াণের খবর জানানোর পরই শোকবার্তা জানান লিজ় ট্রাস। যার হাত থেকে দুইদিন আগে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সেই রানিই আর নেই, এই খবর শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণের পর শোকজ্ঞাপন করেন সে দেশের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লিজ় ট্রাস। তিনি বলেন, “রানির প্রয়াণের খবরে আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। দেশ এবং বিশ্বের কাছে এ এক বিরাট ধাক্কা। রানির শাসনকালেই আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হয়েছে। তাঁর কারণেই আজ ব্রিটেন মহান দেশ”। রানির অবর্তমানে এবার সিংহাসনে বসতে চলেছেন প্রিন্স চার্লস। ইংল্যান্ড সহ আরও ১৫টি কমনওয়েলথ দেশের রাজা হিসেবে আজ অভিষেক হবে প্রিন্স চার্লসের। দেশের নতুন রাজার পাশে সর্বতভাবে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন নয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
নিয়ম অনুযায়ী, বাকিংহ্যাম প্যালেসেই নতুন প্রধানমন্ত্রীর হাতে দায়িত্ব তুলে দিতেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বিগত ৭০ বছর ধরে শাসনকালে এই প্রথাই চলে আসছিল। কিন্তু লিজ ট্রাসের ক্ষেত্রেই সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়। বাকিংহ্যামের বদলে স্কটল্যান্ডের হাইল্যান্ডে অবস্থিত বালমোরাল প্রাসাদেই তাঁকে ডাকা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর পদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য। দীর্ঘ সময়ের এই প্রথা ভাঙার কারণ হিসাবে জানানো হয়, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অসুস্থ। লন্ডনে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই তাঁর।
স্কটল্যান্ডেই রানির সঙ্গে দেখা করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন লিজ় ট্রাস। রানির সঙ্গে হাত মেলানোর ছবিও পোস্ট করেন তিনি। বাকিংহ্যাম প্যালেসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয় যে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ লিজ় ট্রাসের হাতে সরকার সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। ট্রাস রানির হাতে চুমু খেয়ে সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে শেষবার বালমোরাল প্রাসাদে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল ১৮৮৫ সালে। সেই সময় রানি ছিলেন ভিক্টোরিয়া। একবারই লন্ডনের বাইরে একবারই দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া হয়েছিল। ১৯৫২ সালে কিং জর্জ ষষ্ঠ যখন মারা যান, তখন উইনস্টন চার্চিল হিথরো বিমানবন্দরে রানির সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।