Rishi Sunak: দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্যবধান বাড়ালেন ঋষি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়া কি সময়ের অপেক্ষা?

British PM: ২০১৯ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন বরিস জনসন। করোনার সময় লকডাউন চলাকালীন নিজের কার্যালয়ে লকডাউন বিধি উপক্ষা করে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে ‘পার্টি’ করছেন খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

Rishi Sunak: দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্যবধান বাড়ালেন ঋষি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়া কি সময়ের অপেক্ষা?
ছবি : ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2022 | 1:12 PM

লন্ডন: বরিস জনসনের ইস্তফার পর ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রথম রাউন্ডের ভোটে বাজিমাত করেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের পরও প্রাক্তন চ্যান্সেলর নিজের প্রাপ্ত ভোটের মাধ্যমে ব্যবধান বাড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান বলছে সব মিলিয়ে ১০১টি ভোট পেয়েছেন ঋষি। ৮৩টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পেনি মর্ডান্ট। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন লিজ ট্রাস, তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৬৪। ২৭টি ভোট পেয়ে লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান। কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে বুধবার প্রথম রাউন্ডের ভোট প্রত্যাশিতভাবে জয় পেয়েছিলেন ঋষি। দেশের অর্থমন্ত্রী পদ থেকে ঋষি সুনাকের ইস্তফা বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছিল। কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫৮ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে প্রথম রাউন্ডে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছিলেন ঋষি।

গত সপ্তাহেই সুনাকের থেকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব হাতে তুলে নেওয়া নাদিম জাহাউই এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান প্রথম রাউন্ডেই ন্যূনতম ৩০টি ভোট না পাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণামূর্তির জামাতা ঋষি সুনাক প্রথম রাউন্ডের ফলের শেষে জানিয়েছিলেন, এই ফলাফলে তিনি অত্যন্ত খুশি। কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের অনেকেই পেনির দিকে ঝুঁকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

টরি ব্যাকবেঞ্চার ১৯২২ কমিটির সময়সূচি অনুযায়ী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে ২ প্রার্থীকে বেছে নিতে হবে। এবার বাছাই হওয়া ২ প্রার্থীর মধ্যে নেতা হিসেবে ১ জনকে নির্বাচিত করবেন গোটা দেশের ২ লক্ষ কনজারভেটিভ দলের সদস্যরা। দু’জনের মধ্যে যে প্রার্থী সবথেকে বেশি ভোট পাবেন, তিনিই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ওই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবে। ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন বরিস জনসন। করোনার সময় লকডাউন চলাকালীন নিজের কার্যালয়ে লকডাউন বিধি উপক্ষা করে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে ‘পার্টি’ করছেন খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তারপর থেকেই বরিসের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়তে শুরু করে। শেষমেশ ইস্তফা দিতে বাধ্য হন বরিস জনসন।