Russia-Ukraine War: লক্ষ্য ছিল ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’, মস্কোয় গাড়ি বোমা হামলায় নিহত তার মেয়ে

Russia-Ukraine War: রবিবার (২১ অগস্ট) রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মস্কোর উপকণ্ঠে এক গাড়ি বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠ কট্টর রুশ জাতীয়তাবাদী নেতা আলেক্সান্ডার ডুগিনের কন্যা, দারিয়া ডুগিনার।

Russia-Ukraine War: লক্ষ্য ছিল 'পুতিনের মস্তিষ্ক', মস্কোয় গাড়ি বোমা হামলায় নিহত তার মেয়ে
গাড়ি বোমা হামলায় নিহত 'পুতিনের মস্তিষ্ক'এর কন্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2022 | 4:34 PM

মস্কো: লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’। কিন্তু, হিসেবে এদিক-ওদিক হওয়ায় মৃত্যু হল তাঁর কন্যার! রবিবার রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মস্কোর উপকণ্ঠে এক গাড়ি বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠ কট্টর রুশ জাতীয়তাবাদী নেতা আলেসান্ডার ডুগিনের কন্যা, দারিয়া ডুগিনার। ইউক্রেনে রুশ হামলার সোচ্চার সমর্থক আলেসান্ডার ডুগিন। এমনকি, এই হামলার পিছনে তাঁরই মস্তিষ্ক রয়েছে বলে দাবি করা হয়। এই স্পষ্টভাষী রুশ উগ্র জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবীকে পশ্চিমী শক্তিগুলি ‘পুতিনের রাসপুটিন’ বা ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ বলে উল্লেখ করে।

রাশিয়ায় যে কোনও বড় অপরাধের ঘটনার তদন্ত করে রুশ তদন্ত কমিটি। এই কমিটি জানিয়েছে, মস্কোর বাইরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বলশি ভিজিওমি নামে এক গ্রামের কাছে এক হাইওয়েতে এই ঘটনা ঘটেছে। কমিটির দাবি, আলেসান্ডার ডুগিনই এই হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্য ছিলেন। কারণ তাঁর মেয়ে দারিয়া, একেবারে শেষ মুহূর্তে বাবার গাড়িটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। বলশি ভিজিওমি গ্রামের পাশের হাইওয়েতে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়িতে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। কমিটি আরও দাবি করেছে, টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটিতেই বোমা রাখা হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দারিয়া ডুগিনার। এক ঘটনার প্রক্ষিতে একটি হত্যাকাণ্ডের মামলা করে তদন্ত করা হচ্ছে।

বাবা আলেসান্ডার ডুগিনের সঙ্গে দারিয়া ডুগিনা

এই হামলার পিছনে ইউক্রেন সরকারের হাত আছে বলে সন্দেহ ক্রেমলিনের। রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা ইউক্রেনের এক অঞ্চলের প্রধান সরাসরি এই বিস্ফোরণের জন্য কিয়েভকেই দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, ইউক্রেনীয় শাসকদের মতদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরাই আলেকজান্ডার ডুগিনকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার বদলে গাড়ি বোমা হামলায় তারা তাঁর মেয়েকে উড়িয়ে দিয়েছে।

রুশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃত্যুর সময় দারিয়া ডুগিনার বয়স হয়েছিল ৩০ বছর। তিনি তাঁর বাবার উগ্র জাতীয়তাবাদী তত্ত্বের বড় সমর্থক ছিলেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইউক্রেনে রুশ পদক্ষেপকে সমর্থনও করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংবাদ ওয়েবসাইটের প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি। গত মার্চে তাঁকেও নিষিদ্ধ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার আশপাশের রুশ-ভাষী অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে, এক বিশাল নতুন রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান পুতিন ঘনিষ্ঠ আলেসান্ডার ডুগিন। ইউক্রেনে মস্কোর হামলার জোরদার সমর্থক তিনি। ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত করাকেও আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের পর থেকেই পশ্চিমী দেশগুলি তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।