লন্ডন: ব্রিটেনে রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর), রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সের একটি গুপ্তচর বিমান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের করার অভিযোগ করল ব্রিটিশ সরকার। এদিন যুক্তরাজ্যের ‘হাউস অব কমন্সে’ ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৯ সেপ্টেম্বর। কৃষ্ণ সাগরের উপরে নিয়মিত টহলদারির কাজে মোতায়েন ছিল আরএএফ-এর একটি নিরস্ত্র রিভেট জয়েন্ট বিমান। আচমকা যখন দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান ওই ব্রিটিশ স্পাই বিমানটিকে লক্ষ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। অন্তত ৯০ মিনিট ধরে আরএএফ-এর বিমানটিকে তাড়া করেছিল রুশ জেটবিমানগুলি, এমনই জানিয়েছেন ওয়ালেস।
এই ঘটনার পর, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু এবং রুশ চিফ অব ডিফেন্স স্টাফকে ব্রিটিশ সরাসরি চিঠিতে লিখে এই বিষয়ে ব্রিটেনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। চিঠিতে, সাফ জানানো হয়, ব্রিটিশ বিমানটি নিরস্ত্র অবস্থায় পূর্ব-ঘোষিত উড়ান পথ ধরেই উড়ছিল। রুশ পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া না পাওয়া পর্যন্ত, টহলদারির কাজ স্থগিত রেখেছিল যুক্তরাজ্য। এরপর, ১০ অক্টোবর রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু, ব্রিচিশ উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় জানান, “প্রযুক্তিগত ত্রুটির” কারণে, সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমানদুটি থেকে ক্ষেপণাস্তক্র ছুটে গিয়েছিল।
তবে, রাশিয়ার এই সাফাই মানছে না যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ মন্ত্রীর মতে, রুশ বাহিনী বা রুশ প্রেসিডেন্ট গণনায় ভুল করছেন, এমনটা হতে পারে না। বর্তমানে যুদ্ধবিমানের প্রহরায় আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় টহলদারি দিচ্ছে ব্রিটিশ বিমান। বস্তুত, গত কয়েকদিনে ক্রমে যুদ্ধের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে রাশিয়া। গত দুই সপ্তাহে ইউক্রেন জুড়ে প্রধান প্রধান শহরগুলিতে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে আত্মঘাতী ড্রোনও। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার, ইউক্রেনের চারটি অধিকৃত অংশে সামরিক আইন জারি করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধ তৎপরতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস, সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে।