কিয়েভ: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হলেও কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। ক্রমশই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে রাশিয়া। এর মাঝেই রুশ সেনাবাহিনীর ওপর মারাত্মক অভিযোগ তুললেন এক ইউক্রেনীয় মহিলা। ওই মহিলার দাবি, তাঁর স্বামীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ভয়ে যখন তাঁর ৪ বছর বয়সী সন্তান চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিল, সেই অপরাধে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই মহিলার যাবতীয় অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে বলেই জানা গিয়েছে। সংবাদপত্র দ্য টাইমসকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, “আমি একটি গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। তারপরই বাড়ির দরজ খোলার শব্দ আমার কানে আসে। এরপরই ভারী ভারী পায়ের শব্দ সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়েছিল।”
ওই মহিলা জানিয়েছেন, মার্চ মাসের ৯ তারিখ রুশ সেনারা তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। প্রথমে তাদের বাড়ির পোষ্য কুকুরটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মহিলা বলেন, “গুলির শব্দে আমি বাইরে বেরিয়ে আসি এবং চিৎকার করে বলি আমার স্বামী কোথায়? সেই সময় আমি তাঁকে বাড়িতে ঢোকার প্রধান দরজার সামনে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি। সেই সময় এক রুশ সেনা আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বলে, তোমার স্বামী নাৎসি ছিল, তাই তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে।” মহিলার অভিযোগ, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তিনি যদি চুপ করে না থাকেন তবে তাঁকে হত্যা করা হবে এবং তাঁর সন্তানটি বিষয়টি চাক্ষুস করবে।
ওই মহিলা বলেন, “আমাকে জামাকাপড় খুলে ফেলতে বলা হয়। তারপরই ওই দুই রুশ সেনার আমাকে পরপর ধর্ষণ করে। পাশের ঘরেই আমার ছোট ছেলেটা কাঁদছিল, কিন্তু সে সব গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তারা আমাকে বলে ছেলে চুপ করিয়ে আবার ফিরে আসতে। ধর্ষণের সময়ে আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল। আমাকে মেরে ফেলা উচিৎ না বাঁচিয়ে রাখা উচিৎ সেই নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল।” জানা গিয়েছে ওই মহিলা স্বামীর মৃতদেহ কবর দিতে পারেননি এবং বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।