Pakistan: পরমাণু শক্তিধর দেশ হয়ে ভিক্ষা চাইতে লজ্জা হয়: পাক প্রধানমন্ত্রী
Pakistan economic crisis: পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য অন্যান্য দেশের কাছে ভিক্ষা করা লজ্জাজনক, বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
ইসলামাবাদ: পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য অন্যান্য দেশের কাছে ভিক্ষা করা লজ্জাজনক। পাকিস্তানে, চরম অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে ঋণ সংগ্রহ করছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি তিনি হাত পেতেছিলেন পুরোনো বন্ধু সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কাছে। বিধ্বংসী বন্যা এবং ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধার করতে, তারা ইসলামাবাদকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। আমিরশাহির এই ঘোষণার দুই দিন পরই, শনিবার (১৪ জানুয়ারি) এই মন্তব্য করেছেন শাহবাজ শরিফ।
পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের প্রবেশনারি অফিসারদের উত্তীর্ণ হওয়া উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, অন্যান্য দেশের কাছে আরও ঋণের জন্য হাত পাততে তিনি অত্যন্ত বিব্রত বোধ করছেন। তিনি আরও জানান, বিদেশি ঋণ নিয়ে পাকিস্তানের সমস্যার সমাধান করা যাবে না। বরং এইভাবে ঋণ নিয়ে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কারণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ওই ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে।
২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল পাকিস্তান। তিন মাস ধরে চলা বন্যায় দেশের প্রায় সমস্ত প্রধান প্রধান ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বর্তমানে তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে পাকিস্তান। তবে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোটেই ভাল ছিল না। অগস্টের প্রথম সপ্তাহে, অর্থাৎ বন্যা আসার আগেও প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ৬০০ টাকা, ঘি প্রতি লিটার প্রায় ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বন্যায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানে রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ১,২০০ টাকায়। আটার দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।