Sheikh Hasina: ‘প্রস্তুত থাকুন, সময় এসে গিয়েছে…’, ইউনূসের খেলা শেষ, রাত থেকেই ঘুরতে শুরু করেছে বাংলাদেশের হাওয়া, ভারতে থেকেই বড় চাল চাললেন হাসিনা
Sheikh Hasina: অডিয়ো বার্তা তিনি বলেন, "সময় এসে গিয়েছে রুখে দাঁড়াবার। সময় এসে গিয়েছে প্রতিরোধ গড়ার। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। এটাই আমার নির্দেশ। প্রত্যেকে প্রস্তুত হয়ে যান। যাঁর যা কিছু রয়েছে, তা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।"

বাংলাদেশ: শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ করাতে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। বক্তব্য ছিল, ভারতে বসে বসে ‘উস্কানিমূলক বিবৃতি’ দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে বিরত করতে হবে। কিন্তু চুপ করলেন না শেখ হাসিনা। আবারও সামনে এল তাঁর অডিয়ো বার্তা। এবার প্রতিরোধের ডাক! বাংলাদেশ জুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন শেখ হাসিনা।
অডিয়ো বার্তা তিনি বলেন, “সময় এসে গিয়েছে রুখে দাঁড়াবার। সময় এসে গিয়েছে প্রতিরোধ গড়ার। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। এটাই আমার নির্দেশ। প্রত্যেকে প্রস্তুত হয়ে যান। যাঁর যা কিছু রয়েছে, তা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। প্রচুর মোকাবিলা করতে হবে। এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, জনগণের শত্রু! গণশত্রুদের হাত থেকে দেশ রক্ষার জন্য যা কিছু আছে, তা নিয়ে ময়দানে নামেন, এটাই আমার আহ্বান।”
হাসিনার এই আহ্বানের পরই বাংলাদেশ জুড়ে হাওয়া বদলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দিকে দিকে শুরু হয়েছে প্রতিরোধ। বেশ কয়েক জায়গায় আক্রান্ত বৈষম্য বিরোধী জোটের নেতা কর্মীরা। গাজীপুরে জনতার হাতে পিটুনি খেয়েছেন সমন্বয়করা। গুরুতর জখম কুড়ি জনেরও বেশি। তাঁদের বেশিরভাগ জামাত ও ছাত্র আন্দোলনের লোক বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে গাজীপুরে বিএনপি, জামাত ও সমন্বয়করা যৌথ প্রস্তুতি নিয়েছিল হিন্দু সম্প্রদায় আওয়ামি লীগের নেতৃবৃন্দের বাড়িতে আক্রমণ করার জন্য। এই খবর পাওয়ার পরে স্থানীয় জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়।
খবর যায় জামাত নেতা সালাউদ্দিন সরকারের বাড়িতে জরুরি মিটিং চলছে হামলার।এরপরেই আওয়ামি লীগ নেতা গাজিপুরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালাতে আসে জামাতিরা। এরপর শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ । বাড়িতে ভাঙচুর হলেও হামলাকারীদের ওপর গণপ্রহার শুরু করে স্থানীয় জনতা । ঘটনার পর কয়েকজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় আওয়ামি লীগের নেতা কর্মীরা । বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। তাঁদের কেউ কেউ জানান , না বুঝেই তাঁরা এসেছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা বাহিনী । তাঁরাই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
বুধবার রাত থেকে বাংলাদেশের একাংশে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বরের বাড়িতে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে ক্রেন দিয়ে ওই বাড়ি গুঁড়িয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। তারপরই রুখে দাঁড়ানোর ডাক হাসিনার।

