কলম্বো : চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে দ্বীপ রাষ্ট্রের দিকে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার এহেন পরিস্থিতিতে ভারত জ্বালানি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ১২০,০০ টন ডিজেল এবং ৪০,০০০ টন পেট্রোল শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর কথা ভারতের। ভারতের পাঠানো জ্বালানি তেলের থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জ্বালানি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে খরচ করতে পারে শ্রীলঙ্কা। দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতেই এই জ্বালানি ব্যয় করবে প্রশাসন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৫, ১৮ এবং ২৩ এপ্রিল ভারত শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি পাঠানোর কথা। এদিকে গত বুধবার ভারত দুই দফায় ৩৬,০০০ টন পেট্রোল এবং ৪০,০০০ টন ডিজেল শ্রীলঙ্কায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
এক চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা। ইতিমধ্য়েই শ্রীলঙ্কার জ্বালানি ভাণ্ডার শূণ্য হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার। সেই আবহে ভারত জ্বালানি পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ভেসে উঠতে সাহায্য় করল। তবে এর মধ্যেই এই মাসের শেষে পুনরায় শ্রীলঙ্কার জ্বালানির ভাণ্ডার শূণ্য হয়ে যেতে পারে। কারণ ভারতের ক্রেডিট লাইন শেষ হতে চলেছে। ভারত এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্বালানি, খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই মূল্যের সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়ার পরে ভারতের ক্রেডিট লাইন শেষ হয়ে গিয়েছে। এদিকে এই মাসের শেষে দুই তরফের আধিকারিকরাই ক্রেডিট লাইন বাড়ানোর জন্য দর কষাকষি করছেন। যদি এই কথাবার্তা বিফলে যায় তাহলে শ্রীলঙ্কা পূর্ববর্তী ক্রেডিট লাইনই পুনরায় ব্যবহার করতে পারবে। তার জন্য পূর্ববর্তী ক্রয়ের মূল্য় চোকানোর ব্যবস্থা পাকাপাকি করতে হবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ভারত ২৭০,০০০ টন জ্বালানি পাঠিয়েছে। এদিকে শ্রীলঙ্কায় সংকটের জেরে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন সেখানকার আমজনতা। রাজাপক্ষ পরিবারের প্রশাসনিক আধিকারিকদের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন দেশের জনগণ। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। এই সংকটের ফলে রেকর্ড লেভেলে মুদ্রাস্ফীতি এবং দীর্ঘ ব্ল্যাকআউটের ফলে খাদ্য এবং জ্বালানির সরবরাহের অভাব দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : Pakistan Opposition Leaders: বাজছে ঢোলবাদ্যি, ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী করতেই মিষ্টিমুখ বিরোধীদের!