Sri Lanka President Election: আর জনমত নয়, রাতারাতি বদলে ফেলা হল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি
Sri Lanka President Election: শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যও জনমত গ্রহণ করা হত। তবে এবার জরুরি পরিস্থিতিতে ২ কোটিরও বেশি মানুষের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা অসম্ভব হওয়ায়, অন্যান্য দেশের মতোই শ্রীলঙ্কাতেও সাংসদ-বিধায়কদের ভোটের হিসাবেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়া হবে।
কলম্বো: অবশেষে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়েছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। আগামী সাতদিনের মধ্যেই বেছে নেওয়া হবে নতুন রাষ্ট্রপতি। তবে নির্বাচনের আগেই বাছাই পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনল শ্রীলঙ্কা সরকার। এবার থেকে আর জনগণের ভোটে নয়, দেশের সংসদের সদস্য়দের ভোটের হিসাবেই বেছে নেওয়া হবে নতুন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফা সরকারিভাবে গ্রহণের কথা জানাতে গিয়েই এই ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনা।
আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। ১৯ জুলাই গ্রহণ করা হবে মনোনয়নপত্র। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার স্পিকার আবেবর্ধনা জানান, সংসদে যে ২২৫ জন সদস্য রয়েছেন, তাদের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি হবে। যে প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা সব থেকে বেশি ভোট পাবেন, তাকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ভারতেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনে কেবল সাংসদ ও বিধায়করাই ভোট দিতে পারেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যও জনমত গ্রহণ করা হত। তবে এবার জরুরি পরিস্থিতিতে ২ কোটিরও বেশি মানুষের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা অসম্ভব হওয়ায়, অন্যান্য দেশের মতোই শ্রীলঙ্কাতেও সাংসদ-বিধায়কদের ভোটের হিসাবেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়া হবে। তবে এই প্রেসিডেন্ট অন্তবর্তীকালীন ক্ষমতায় থাকবেন। আগামিদিনে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নতুন সরকার গঠন করা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে আপাতত তিনজন নাম লিখিয়েছেন। এরা হলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা ও সংসদের সদস্য ডালাস আলহাপেরুমনা। এরমধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসাবে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। যদি পলাতক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের দল শ্রীলঙ্কা পরজুনা পেরমুনার সদস্যরা যদি রনিলকেই ভোট দেন, তবে নির্বাচনে সহজেই জিতে যাবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তবে দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে যেখানে জনগণ রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের ইস্তফার দাবি করেছেন, সেখানে তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করার ঝুঁকি নাও নিতে পারেন সাংসদরা। সেক্ষেত্রে সাজিথ প্রেমদাসাই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।