Next British PM: ‘যাকে খুশি ভোট দিন, শুধু ঋষি সুনাককে নয়!’ তীব্র ঘৃণা ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে

Next British PM: শুক্রবার (১৫ জুলাই) বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ মিডিয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জনসন কনজারভেটিভ পার্টিতে তাঁর মিত্রদের বলেছেন, 'অন্য যে কাউকে ভোট দিন, কিন্তু ঋষি সুনাককে নয়।'

Next British PM: 'যাকে খুশি ভোট দিন, শুধু ঋষি সুনাককে নয়!' তীব্র ঘৃণা ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে
বরিস জনসন ও ঋষি সুনাক - তখনও ছিলেন পাশাপাশি (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: Jul 16, 2022 | 12:12 AM

লন্ডন: জমে উঠেছে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়। ছিটকে যাচ্ছেন একের পর এক সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এখনও অবধি এই দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা ইনকোসিস কর্তার জামাতা ঋষি সুনাক। তাঁকে কিছুটা হলেও লড়াই দিচ্ছেন জনসন সরকারের জুনিয়র বাণিজ্য মন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। তবে, নির্বাচনের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তলায় তলায় ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধে তীব্র প্রচার শুরু করেছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ মিডিয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জনসন কনজারভেটিভ পার্টিতে তাঁর মিত্রদের বলেছেন, ‘অন্য যে কাউকে ভোট দিন, কিন্তু ঋষি সুনাককে নয়।’

লন্ডন: জমে উঠেছে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়। ছিটকে যাচ্ছেন একের পর এক সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এখনও অবধি এই দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা ইনকোসিস কর্তার জামাতা ঋষি সুনাক। তাঁকে কিছুটা হলেও লড়াই দিচ্ছেন জনসন সরকারের জুনিয়র বাণিজ্য মন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। তবে, নির্বাচনের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তলায় তলায় ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধে তীব্র প্রচার শুরু করেছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ মিডিয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জনসন কনজারভেটিভ পার্টিতে তাঁর মিত্রদের বলেছেন, ‘অন্য যে কাউকে ভোট দিন, কিন্তু ঋষি সুনাককে নয়।’

গত ৭ জুলাই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করেছিলেন বা বলা ভাল পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। তার আগে তাঁর প্রতি একে একে সমর্থন প্রত্যাহার করে পদত্যাগ করেছিলেন সরকারের একগুচ্ছ পদাধিকারীরা। আর সেটা শুরু হয়েছিল বরিস সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা চ্যান্সেলর, ঋষি সুনাকের ইস্তফার মধ্য দিয়ে। জনসনের নিজের দলের সদস্যদের মধ্যে সমর্থন হারানোর জন্য সুনাকই ব্যাপকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়। এই অবস্থায়, টাইমস পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সুনাককে সমর্থন না করার জন্য দলে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের অনুরোধ করেছেন জনসন।

এক আগে জনসন জানিয়েছিলেন, তিনি পরবর্তী কনজারভেটিভ প্রার্থীর নেতা হিসেবে কোনও প্রার্থীকেই প্রকাশ্যে সমর্থন করবেন না বা প্রতিযোগিতায় কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে, প্রকাশ্যে কিছু না করলেও, মনে করা হচ্ছে পর্দার আড়ালে সুনাক যাতে সফল না হন, তার জন্য কলকাঠি নাড়া শুরু করে দিয়েছেন। টাইমস-এর প্রতিবেদনে, জনসনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, প্রাক্তন চ্যান্সেলরের পদত্যাগকে জনসন শিবির বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করছে। পুরো টিম ১০ ডাউনিং স্ট্রিট এখন ঋষিকে ঘৃণা করে। সাজিদ জাভিদও ঋষির পরপরই পদত্যাগ করলেও, জনসনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তাঁকে দোষারোপ করা হচ্ছে না। তারা মনে করছে, গত কয়েক মাস ধরেই ঋষি এর জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন।

তাই তাঁর বিরুদ্ধে একটি গোপন প্রচার চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনসন বিদেশ সচিব লিজ ট্রসকে দেখতে সবথেকে বেশি আগ্রহী। দুই রাউন্ডের ভোটেই তিনি তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। এমনকি, সুনাকের পরিবর্তে জুনিয়র বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্টও প্রধানমন্ত্রী হলে অখুশি হবেন না বলে জানিয়েছেন জনসন, এমনটাই সূত্রের খবর। মর্ডান্ট এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। জনসন শিবির থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে তাঁর এক সহযোগী স্বীকার করেছেন যে, সুনাকের বিশ্বাসঘাতকতায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। সুনাক শিবিরও টাইমস-এর খবর উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, টোরি দলের অন্যান্য সাংসদের মতো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও ঋষিকেই সমর্থন করছেন।