সিওল: যাত্রী ও ক্রু সদস্য মিলিয়ে বিমানে ছিলেন ১৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। প্রাণে বেঁচেছেন ২ জন। কিন্তু, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা বর্ণনা করতে পারছেন না তাঁরা। এমনকি, মনেও করতে পারছেন না, কী হয়েছে বিমানে।
রবিবার, মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাঁচিলে গিয়ে ধাক্কা মারে বিমানটি। তারপরই আগুন ধরে যায়। বিমানে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। মাত্র ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে। দু’জনই ক্রু সদস্য। উদ্ধারের পরই তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দমকল বাহিনীর অফিসাররা বলছেন, ২ জনেরই জ্ঞান রয়েছে। এবং তাঁরা বিপন্মুক্ত।
ওই দুই জনের একজন হলেন লি। উদ্ধারের পর ৩২ বছরের লি’কে মকপো কোরিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না তিনি। উল্টে তাঁর প্রশ্ন, “কী হয়েছে? আমি এখানে কেন?” লি জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের আগে তিনি নিজের সিটবেল্ট শক্ত করে বেঁধে বসেছিলেন। এরপর আর কিছু মনে করতে পারছেন না তিনি।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা মনে করছেন, দুর্ঘটনার শকে এমন হতে পারে। বিমানের শেষদিকে ছিলেন লি। তাঁর বাঁ কাঁধে চোট লেগেছে। তিনি মাথায়ও চোট পেয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁর পরিবারের অনুরোধে লি’কে সিওলের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
লি-র মতো দুর্ঘটনার মুহূর্ত মনে করতে পারছেন না উন-ও। মাথার খুলিতে আঘাত পেয়েছেন। গোড়ালিতেও চোট লেগেছে উনের। পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, উন বিপন্মুক্ত। তবে এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাই দুর্ঘটনার বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে এখনই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে না।