ঢাকা: আর কত রাগ, বিদ্বেষ দেখাবে ইউনূস সরকার? অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন চলছে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে জমি, পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর, নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। শুধু তো তাই নয়। বদলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে ইতিহাসও। এবার বাংলাদেশ মুছে ফেলল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠাবাড়ী জমিদার বাড়ি। এখানেই পা রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। উদ্বোধন করেছিলেন কাছারিবাড়ির। সেই আঠাবাড়ী থেকেই মুছে দেওয়া হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। বাড়ির সামনে যে ফলক ছিল, সেখান থেকে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
শিলাইদহের কুঠিবাড়ি কিংবা সিরাজগঞ্জের কাছারিবাড়ির কথা অনেকেরই জানা। তবে আঠাবাড়ীর জমিদার বাড়ি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। ১৯২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরীর আমন্ত্রণে আঠাবাড়ী জমিদার বাড়িতে যান বিশ্বকবি। তাঁর অনুরোধেই কাছারিবাড়ির উদ্বোধন করেন। ১৯৬৮ সালে এখানে তৈরি হয় আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজ। এই কলেজের ভিতরেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথের উদ্বোধন করা কাছারিবাড়ি।
প্রতি বছরই কবিগুরুর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে দূর-দূরান্ত থেকে জনসমাগম হত। তবে বর্তমানে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে দেওয়ার পর সেই ভিড়ও কমে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ অগস্ট হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে বাদ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। বিশ্বকবির লেখা গান জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে বাদ দিতে উদ্যত হয় ইউনূস সরকার।