মস্কো: সবকিছু শেষ, কিন্তু জীবনটা নয়। মারা যাননি সিরিয়ার গদিচ্যুত প্রেসিডেন্ট। রবিবার সশস্ত্র গোষ্ঠী দামাস্কাস দখলের পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের। প্রথমে জল্পনা শোনা গিয়েছিল যে বিপদ বুঝে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তাঁর বিমান র্যাডার থেকে উধাও হয়ে যেতেই নতুন জল্পনা শোনা যায় যে পালাতে গিয়েই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে আসাদের। কিন্তু নাহ, বেঁচে আছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। কোথায় তিনি?
গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা যেমন বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তেমনই সশস্ত্র বাহিনীর বন্দুকের আওয়াজ পেয়েই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদও। তিনি ও তাঁর পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন রাশিয়ায়। গতকালই তাদের বিমান মস্কোয় অবতরণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
রাশিয়ার স্টেট মিডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, ইসলামিক বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দখল নেওয়ার পরই আসাদ ও তাঁর পরিবার মস্কোয় এসেছেন। মানবিকতার ভিত্তিতে রুশ প্রশাসন তাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতিই রাশিয়ায় বিলাসবহুল এক সম্পত্তি কিনেছিলেন আসাদ। তবে দেশ থেকে কার্যত বিতাড়িত হওয়ার পর তিনি সপরিবারে সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন কি না, তা জানা নেই।
প্রসঙ্গত, রবিবার সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের যখন দখল নিচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী, সেই সময়ই উড়ে যায় একটি প্রাইভেট বিমান। জল্পনা শুরু হয় যে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। কিন্তু সিরিয়ার উপকূলের দিকে গিয়েও হঠাৎ ইউ টার্ন নেয় বিমানটি। বিপরীত দিকে কয়েক মিনিট ওড়ার পরই র্যাডার থেকে উধাও হয়ে যায় বিমানটি। কোনওভাবেই ট্রাক করা যাচ্ছিল না সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে। নানা তত্ত্ব উঠতে থাকে যে হয়তো বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে বা সশস্ত্র বাহিনী গুলি করে বিমানটিকে নামিয়েছে। বাশার আল আসাদ আদৌ বেঁচে আছেন নাকি, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। তবে রাশিয়ায় আশ্রয় নেওয়ার খবরে বোঝা গেল, ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানের ট্রান্সপন্ডার অফ করে রাখা হয়েছিল।