AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Taliban: ‘এখানকার জনগণ প্রধানত মুসলিম’, রাষ্ট্রসংঘের আহ্বান উড়িয়ে দিল তালিবান

Taliban: মহিলাদের উপর আরোপিত কড়া বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিল তালিবান কর্তৃপক্ষ।

Taliban: 'এখানকার জনগণ প্রধানত মুসলিম', রাষ্ট্রসংঘের আহ্বান উড়িয়ে দিল তালিবান
ছবি: ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 8:37 PM
Share

কাবুল: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিল তালিবান কর্তৃপক্ষ। তালিবান কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আফগান মহিলাদের উপর যে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেগুলি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার তালিবান কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রসংঘের এই উদ্বেগগুলিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিল। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উদ্বেগ ‘ভিত্তিহীন’। এদিন তালিবান বিদেশ মন্ত্রক আরও একবার দাবি করেছে, আফগান নারীদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আফগানিস্তানের জনগণ প্রধানত মুসলিম, তাই আফগান সরকার ইসলামিক হিজাব পরার অনুশীলনকে আফগান সমাজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করে’।

গত মঙ্গলবারই, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আফগান মহিলাদের উপর তালিবানদের কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল। গত বছর আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালিবানরা যেভাবে পর্যায়ক্রমে মহিলাদের শিক্ষা, সরকারি চাকরি এবং চলাফেরার স্বাধীনতার উপর বিভিন্ন বিধি-নিষেধ চাপিয়েছে, তার জন্য তালিবান শাসকদের সমালোচনা করেছিল পরিষদ। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ১৫টি রাষ্ট্র ‘আফগান মহিলাদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতাকে সীমিত করে এমন নীতি ও অনুশীলনগুলি দ্রুত পরিবর্তন’ করার আহ্বান জানিয়েছিল। তালিবান কর্তৃপক্ষকে তারা মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য ফের সমস্ত স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান করেছিল। এদিন তারই জবাব দিল তালিবান কর্তৃপক্ষ।

ইসলামের কঠোর ব্যাখ্যা মেনে চলে তালিবানরা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে প্রথমবার আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল তালিবানরা। সেই সময় তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে মহিলাদের উপর যারপরনাই অত্যাচার চালাতো তারা। মহিলাদের কোনও অধিকারই ছিল না। ২০০১ সালে তালিবানদের ক্ষমতাচ্যুত করার পরের দুই দশকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল মার্কিন সমর্থিত সরকার। সেই সময় আফগান মহিলাদের অনেক অধিকারই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত অগাস্টে ফের কাবুল দখল করার সময়, তালিবানরা আগের থেকে নরমপন্থী ইসলামি শাসন জারির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

ফাইল চিত্র

কার্যক্ষেত্রে তা আর মানছে না তালিবান কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে আফগানদের স্বাধীনতাকে পদদলিত করছে তালিবান সরকার। প্রথমেই আফগানিস্তানের নারীকল্যান বিষয়ক মন্ত্রকটিই তুলে দিয়েছিল তারা। মহিলা বা বৃদ্ধ শিক্ষকের অভাব রয়েছে বলে মেয়েদের পড়াশোনাও প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগার। সম্প্রতি, তালিবানদের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাও নির্দেশ দিয়েছেন মহিলাদের জনসমক্ষে সর্বাঙ্গ ঢাকা পোশাক পরতে হবে। টেলিভিশনে মহিলা সঞ্চালকদেরও মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাবুল সফর শেষে, আফগানিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক রিচার্ড বেনেট বলেছিলেন, তালিবানদের বিধিনিষেধের উদ্দেশ্যই হল মহিলাদের ‘সমাজ থেকে অদৃশ্য’ করে দেওয়া।

২০২১ সালের অগাস্ট থেকে ক্ষমতায় থাকলেও, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশই আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। যেভাবে আফগান নাগরিক, বিশেষ করে মহিলাদের অধিকার তারা কেড়ে নিচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি কোনও দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও জায়গা করে নিতে পারেনি তালিবান শাসিত আফগানিস্তান।