স্বমহিমায় ফিরছে তালিবান, একে একে বন্ধ হচ্ছে কনস্যুলেট

বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর তালিবানরা উত্তর আফগানিস্তান এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলির বেশ কয়েকটি জায়গা দখল করে নেয়।

স্বমহিমায় ফিরছে তালিবান, একে একে বন্ধ হচ্ছে কনস্যুলেট
ফাইল ছবি (টুইটার থেকে প্রাপ্ত)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2021 | 7:27 PM

নয়া দিল্লি: আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ৯০ শতাংশেরও বেশি সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাতটি সামরিক ঘাঁটি আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে হস্তান্তর করেছে আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর (পেন্টাগন) জানিয়েছে যে প্রায় এক হাজার বার সি -১৭ কার্গো বিমান আফগানিস্তান থেকে সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে দেশে ফিরেছে। পেন্টাগনের মতে, সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আফগানিস্তান ছাড়ার আগে বেশ কিছু অস্ত্র আফগানিস্থানের ডিফেন্স লজিস্টিক এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার সাহায্যে ন্যাটো দেশগুলিও আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। জার্মানিও তার সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে তার কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে।

ইতিমধ্যে, গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের বৃহত্তম সামরিক বিমানবন্দর বাগরাম এয়ারবেস থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর তালিবানরা উত্তর আফগানিস্তান এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলির বেশ কয়েকটি জায়গা দখল করে নেয়।

আফগানিস্থানের অভিযোগ, মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের না জানিয়ে এবং নতুন আফগান কমান্ডার নিযুক্তি না করেই ঘাঁটি ছেড়ে যায়। এই ঘাঁটিতে একটি জেলও রয়েছে যেখানে কয়েক হাজার তালিবান এবং অন্যান্য বন্দি বছরের পর বছর ধরে বন্দি রয়েছেন। আফগান কমান্ডার জেনারেল মীর আসাদ কোহস্থানি এটি সুনিশ্চিত করেছেন।

আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি বলেছেন যে তালিবানরা পরবর্তী ১০০ বছরেও আফগান সরকারকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করতে পারবে না। তালিবান ও তার সমর্থকরা দেশে রক্তক্ষয় ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য পুরোপুরি দায়বদ্ধ, আমরা আমাদের অঞ্চলগুলি রক্ষা করতে প্রস্তুত।

আফগানিস্থান সরকারের প্রচেষ্টা থাকা সত্তেও আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশ তাদের কনস্যুলেট বন্ধ করতে শুরু করেছে। উত্তর বালখ প্রদেশের রাজধানী এবং আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরিফে তুর্কি ও রাশিয়ার কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিকরা শহর ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

এদিকে ইরান বলেছে যে তার কনস্যুলেট সীমিত ভাবে কাজ করছে। বালখ প্রদেশের প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র মুনির ফরহাদ বলেছেন যে উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের কনস্যুলেটরা পরিষেবা কমিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কের ‘মুখে’ শুধুই সোয়াবিন! নেপথ্যে এক অন্য কাহিনী

আফগান ভূমিকা নিয়ে ভারত সতর্ক। আফগানিস্তানে সামগ্রিক বিকাশের জন্য পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা বিশ্ববিদিত। বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ভারত নজর রেখেছে।