‘দাসত্বের শিকল ভাঙল তালিবান’, কাবুলের পতনের পরই স্বস্তিতে ইমরান!

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 16, 2021 | 6:07 PM

পাক প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে আসরাফ ঘানি পদত্যাগ না করলে কোনও আলোচনায় বসবে না তালিবান। ইমরানের সেই আশা পূরণ হয়েছে গতকালই।

দাসত্বের শিকল ভাঙল তালিবান, কাবুলের পতনের পরই স্বস্তিতে ইমরান!
ফাইল চিত্র

Follow Us

ইসলামাবাদ: তালিবান ক্ষমতায় এসেছে। আবার ফিরবে সেই চোখেরাঙানি? সারিয়া আইনের নামে মানুষের মৃত্যু আর নরক যন্ত্রণা হয়ে উঠে নিত্যসঙ্গী? এই ভয়েই কাঁপছে আফগানিস্তান। কিন্তু তালিবানি শাসন ফিরতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর মতে, এতদিন ধরে দাসত্বের শিকল পরানো ছিল আফগানিস্তানে। তালিবানি শাসনে কার্যত ভেঙেছে সেই শিকল। আগেই ইমরান খান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে আসরাফ ঘানির ইস্তফা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। আর গতকাল তালিবান কাবুলে পৌঁছনোর পরই ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান আসরাফ ঘানি।

রবিবার কাবুলের মসনদ দখল করেছে তালিবান। আর তারপরই ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তালিবানের লড়াই শুরু হওয়ার পরই ইমরান খান দাবি করেছিলেন যে আসরাফ ঘানি পদত্যাগ না করলে তালিবান কোনও কথা বলবে না।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, যতদিন আসরাফ ঘানি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকবে ততদিন সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসবে না তালিবান।
তিনি আরও দাবি করেছিলেন, যে তিনি যখন তালিবানদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, তখন তারা বলেছিল যে আরাফ ঘানি আছেন যতক্ষণ, ততক্ষণ আমরা আফগান সরকারের সঙ্গে কথা বলব না। এর আগে তালিবানকে সাহায্য করার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি।

অন্যদিকে তালিবানকে সরাসরি বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছে বেজিং। ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে চিনের জন্য বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ আফগানিস্তান। তাই সন্ত্রস্ত আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গেও হাত মেলাতে পিছপা হচ্ছে না চিন। তালিবানের হাতে আফগানিস্তানের পতন সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেন, ‘আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আফগানিস্তানের মানুষ নিজেরা যাতে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে, সেটাই চায় চিন। আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে চায় চিন।’

এ দিকে, তালিবানি শাসন থেকে বাঁচতে আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করছে হাজার হাজার মানুষ। এ দিন সকাল থেকেই কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। তালিবান শাসন থেকে মুক্তি পেতে হাজার হাজার কাবুলবাসী বিমানবন্দরে পালিয়ে আসেন। সেখান থেকে যে কোনও বিমান ধরে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এ দিকে তাদের পিছু পিছু তালিবান মুজাহিদ্দিনের জঙ্গিরাও ঢুকে পড়ে। গুলির লড়াই শুরু হয় মার্কিন সেনার সঙ্গে। আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: টায়ার আঁকড়েই দেশ ছাড়ার আপ্রাণ চেষ্টা, মাঝ আকাশ থেকে পড়ে মৃত ৩

Next Article