Taliban News: বাড়িতে মেয়ে থাকলে উঁকি মারা যাবে না! তুলে দেওয়ার নিদান ঘরের জানলা
Taiban News: তাঁদের আরও দাবি, মহিলাদের রান্না ঘরে কাজ করতে দেখলে কিংবা কুয়ো থেকে জল তুলতে দেখলে তা অশালীন কর্মকাণ্ডের আওতায় পড়বে।
কাবুল: তালিবানদের রকমারি শরিয়ত। ‘নারী নিরাপত্তা’র মোড়কে কাবুলিওয়ালাদের দেশে আপাতত চলছে নির্যাতন, এমনটাই বলছেন বহু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। এবার তালিবানদের নয়া-ফরমান। কাবুলিওয়ালার দেশের ‘ছোট্ট মিনিদের’ আরও অন্ধকারে ঠেলে দিতে লাগু হল আরও একটি আইন। ঘরের জানলা তৈরিতেও আপত্তি জানাল তালিবান সরকার।
ঘটনাটা ঠিক কী?
তালিবান সরকারের মুখপাত্রের একটি প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া নতুন বাড়িগুলিতে রাখা যাবে না জানলা। মূলত, অন্দরমহলের যে সকল জায়গা মেয়েরা ব্যবহার করে সেগুলিকে রাখতে হবে জানলাবিহীন, যাতে বাইরে থেকে কেউ যেন ঘরের মধ্যে থাকা মেয়েদের দেখতে না পায়। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের আরও দাবি, মহিলাদের রান্না ঘরে কাজ করতে দেখলে কিংবা কুয়ো থেকে জল তুলতে দেখলে তা অশালীন কর্মকাণ্ডের আওতায় পড়বে।
ফরমান মতোই দেশে সকলে ‘তালিবানি বাণী’ মেনে চলছে কি না সেই বিষয়টিতে নজরদারি চালাবে পুরসভা ও অন্যান্য দফতর। যে সব বাড়িতে ফরমান জারি হওয়ার আগেই জানলা তৈরি হয়ে গিয়েছে, তাদের সেই জানলা বুজিয়ে দিতে হবে দেওয়াল তুলে, নির্দেশ তালিবান সরকারের।
উল্লেখ্য, একুশ সালে পালাবদলের পর থেকেই আফগানিস্তানের আকাশে বাতাসে ভয়ের আবহ। কাবুলিওয়ালাদের দেশকে নিজেদের কবলে আনার পরেই সেদেশে শরিয়ত লাগু করে তালিবানরা। আর তারপর থেকেই সেই শরিয়তের ছত্রছায়ায় চলছে একের পর এক আজগুবি ফরমান জারি। ‘নারী নিরাপত্তার’ নামে মেয়েদের ‘গলা টিপছে’ তালিবানরা, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
এর আগে মেয়েদের ‘পা বেঁধে’ দিতে পড়াশোনায় আঘাত আনে তালিবান সরকার। বন্ধ হয়ে যায় কলেজ যাওয়া। চাকরি ওঠে মাথায়। তারপরই আরও এক নয়া ফরমান জারি করে তৃতীয় শ্রেণীকেই মেয়েদের পড়াশোনার সীমানা হিসাবে কাঁটা তার টেনে দেয় তারা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১০ বছর বয়সি মেয়েদের যেন আর স্কুলে না পাঠানো হয় সেই বার্তা দিয়ে দেয় তালিবান সরকার।