কাবুল: হঠাৎ “নিষিদ্ধ” (Restricted) ঘোষণা করা হল তালিবান মুখপাত্রের টুইটার অ্যাকাউন্ট (TYwitter Account)। রবিবার রাত থেকেই তালিবানের মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ(Zabihullah Mujahid )-র টুইটার অ্যাকাউন্ট “আপাতভাবে নিষিদ্ধ” বলে দেখানো হয়।
জাবিদুল্লাহর টুইটার অ্যাকাউন্টে ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে একটি বার্তা। তাতে লেখা, “এই অ্যাকাউন্টটি আপাতভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই অ্য়াকাউন্ট থেকে সন্দেহজনক গতিবিধি হয়েছে।” যদিও সেই সতর্কবার্তার পরও চাইলে জাবিদুল্লাহর টুইটার অ্যাকাউন্টটি খোলা যাচ্ছে।
জাবিদুল্লাহ নিজেও এই বিষয়ে কিছু জানাননি, বা তালিবানের তরফেও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়েনি। এদিকে, টুইটারও “টেম্পোরারি রেস্ট্রিকশন”-র কারণ জানায়নি। তাদের ব্যাখ্যা শুধু এইটুকুই যে, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সন্দেহজনক কিছু গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
গতকাল জাবিদুল্লাহর টুইটার অ্যাকাউন্টে এই পরিবর্তন আনার আগে তাঁর শেষ টুইট ছিল বিকেল ৫টা নাগাদ। রবিবারই কাবুলের একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে একাধিক আফগানবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জাবিদুল্লাহ টুইট করে জানান, কাবুলের ইদগাহ মসজিদের প্রবেশ পথের কাছেই বিস্ফোরণটি হয়। গত সপ্তাহে তাঁর মা মারা যাওয়ায়, তাঁর স্মৃতিতেই মসজিদে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, তাঁর সকল আত্মীয় এবং বন্ধুরাও আমন্ত্রিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,জাবিদুল্লাহ মুজাহিদের মায়ের স্মৃতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের জন্যই তালিবান প্রশাসনের তরফে ইদগাহ মন্দিরের সামনের রাস্তা সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক কিছু সময় পরেই ওই বিস্ফোরণ হয়। সংবাদসংস্থা এএফপির দুই সাংবাদিকও জানান, তারা কাবুলের দুই পৃথক এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। তাঁদের নিকটবর্তী কাবুল ইমার্জেন্সি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের পরই জল্পনা শুরু হয় যে, তালিবান মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদকে খতম করতেই হয়তো মসজিদে এই হামলা চালানো হয়েছিল। যদিও এই বিস্ফোরণের দায়স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তবে বিগত এক মাস ধরেই তালিবানের উপরে, বিশেষত জালালাবাদে যে হারে তালিবানের উপর হামলা শুরু হয়েছে, তার পিছনে আইসিস-খোরাসানের হাত রয়েছে বলেই সন্দেহ।