কান্দাহার-হেরাতের ভারতীয় দূতাবাসে লুঠপাট চালাচ্ছে তালিবান, হাতিয়ে নিল গোপন নথিও

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 20, 2021 | 9:50 AM

তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মুল্লাহ ওমারের পুত্র ইয়াকুবের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে গাড়ি দখল করে নিয়েছে তালিবানরা।

কান্দাহার-হেরাতের ভারতীয় দূতাবাসে লুঠপাট চালাচ্ছে তালিবান, হাতিয়ে নিল গোপন নথিও
কাবুলের পথে তালিবানিদের উল্লাস। ছবি:PTI

Follow Us

কাবুল: ক্ষমতা দখল করতেই ভারতীয় দূতাবাসে (Indian Embassy) লুঠপাট চালাচ্ছে তালিবানিরা (Taliban)। একদিকে, যেখানে প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন হাক্কানি গোষ্ঠীর প্রধান আনাস হাক্কানি, সেখানেই কান্দাহার ভারতীয় দূতাবাসে রাখা গাড়িগুলির দখল নিয়েছে তালিবানরা।

ক্ষমতা দখলের পর আপাতত কাবুলের দায়িত্ব সামলাচ্ছে হাক্কানি গোষ্ঠীই। এর প্রধান তথা তালিবান কম্য়ান্ডার আনাস হাক্কানি গত ১৮ অগস্টই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজ়াইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরনো সরকারের মুখ্য শান্তিদূত আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।

বৈঠক শেষে কারজাই জানান, আফগানিস্তানের মানুষের জীবন এবং নিরাপত্তাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তালিবানরা জানিয়েছে, শহরের নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তারা লোক নিয়োগ করেছে। আগামিদিনে নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

আনাসের ভাই সিরাজুদ্দিন হাক্কানিই মূলত হাক্কানি গোষ্ঠীকে সামনে থেকে পরিচালিত করে। পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানের একাধিক জায়গায় এর আগেও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল। এ বারও তালিবানদের আফগানিস্তান দখলের সময় পাকিস্তানের কোয়েট্টা থেকে সিরাজুদ্দিন যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, কান্দাহারে মুল্লাহ ইয়াকুব সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গিয়েছে। তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মুল্লাহ ওমারের পুত্র ইয়াকুবের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে গাড়ি দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিও তাদের হাতে চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কান্দাহারের পাশাপাশি হেরাতেও দূতাবাসে হানা দিয়েছিল তালিবানিরা এবং সেখানেও গোপন নথি খুঁজেছে তারা বলেই জানা গিয়েছে।

ভারতের তরফ থেকে একে একে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অন্যদিকে, দুদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মার্কিন বাসিন্দাদের সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনতে আগামী ৩১ অগস্ট অবধি আফগানিস্তানেই থাকবে মার্কিন সেনা। কাবুল বিমানবন্দরে সংঘর্ষের পরিস্থিতি  প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, “কোনও বিশৃঙ্খলা ছাড়া উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব ছিল না।”

জো বাইডেন জানিয়েছেন, বর্তমানে মার্কিন সেনাবাহিনীকে উদ্ধারকাজ চালাতে সাহায্য করেছে আফগানিস্তানের বাসিন্দারা।  মার্কিন দূতাবাস গুলি ফাঁকা করার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে আফগানিস্থানে থাকাকালীন মার্কিন সেনাকে সাহায্য করেছিল যে সব আফগান নাগরিক তাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেন। আফগানিস্তানের থেকে গেলে তালিবানদের প্রতিশোধের মুখে পড়ে তাঁদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘দেশ পুনর্গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে চিন’, তালিবানের মুখেও এ বার বন্ধুত্বের বার্তা 

Next Article