বাংলাদেশ: হাসিনা সরকারের পতনের পর আপাতত বাংলাদেশের প্রশাসন চালাবে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবারই সেই সরকারের শপথগ্রহণ, যার মাথায় থাকছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মহম্মদ ইউনূস। বর্তমানে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে, তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন সে দেশের মানুষ। আর সেই সরকার গঠনের আগেই ভিনদেশে বসে বেশ কিছু দাবি জানালেন তসলিমা নাসরিন।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরই লেখিকা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, মৌলবাদীরা কীভাবে তাঁকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিয়েছিল। আর এবার নতুন সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি জানালেন তিনি।
তসলিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘যাঁরাই নতুন সরকার গঠন করুক, আশা করছি তাঁরা এই কাজগুলো করবেন।’ তিনি কী কী চাইছেন, তার একটি তালিকাও তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শেখ হাসিনা তথা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও তসলিমার প্রথম দাবি, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবর রহমানে বাড়ির মিউজিয়ামটি অবিকল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বাচনে যাতে আওয়ামী লীগকে বাদ না দেওয়া হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন তিবি। মুজিবের মূর্তির পূননির্মাণের দাবি করার সঙ্গে সঙ্গে তসলিমা আরও বলেছেন, “আওয়ামী লীগ করা কোনও অন্যায় নয়, নেতা কর্মীদের হত্যা করা, তাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।”
সম্প্রতি ‘জলের গান’ ব্যান্ডের অন্যতম শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে যেভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তসলিমা। তাঁর দাবি, রাহুলের বাড়িটি আবার অবিকল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে বরাবরই সওয়াল করেন তসলিমা। বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাসিত লেখিকার দাবি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। গড়ে দেওয়া হোক ভাঙা মন্দির এবং মূর্তি। নাস্তিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। নির্বাচনে বা নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ থাকা দরকার মনে করেন তিনি। সব শেষে ‘লজ্জা’র লেখিকার দাবি, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে দেশের স্বার্থে। যাঁরা নতুন নেতা হচ্ছেন, তাঁরা আদতে ভারত-বিদ্বেষী বলেই মনে করেন তসলিমা।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)