কলকাতা: রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের পর, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় কাঁপছে গোটা পৃথিবী। আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানেই পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা। মানুষ অবশ্য এখনও পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেনি যে বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হতে পারে। রাশিয়ার পুতিন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনরা হুমকি দিচ্ছেন, তবে, সাধারণ মানুষ এখনও ভাবছে, এতটা বোকার মতো কাজ কী করবেন রাষ্ট্রনেতারা? কিন্তু এআই বট (AI bot) চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) কিন্তু ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। চ্যাটজিপিটি ৬টি দেশের নাম দিয়েছে, যেখান থেকে শুরু হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
কোরিয় উপদ্বীপ: উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এতে আমেরিকা জড়িত থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ। উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত নতুন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চলেছে। চিনের মতো বড় শক্তি তাদের সমর্থন দিচ্ছে। তাই এখান থেকে যে কোনও সময়ে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্য: মধ্যপ্রাচ্য এমন এক অঞ্চল যেখানে গত কয়েক দশক ধরে সংঘাত জারি রয়েছে। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে সংঘাত পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ইরান ও প্রতিবেশী দেশগুলির যোগদান এই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে সিরিয়ায় চলছে গৃহযুদ্ধ। যেখানে আমেরিকা ও রাশিয়া পরস্পরের মুখোমুখি। এই অঞ্চল থেকে যে কোনও সময় বিশ্বব্যাপী সংঘাত শুরু হতে পারে।
তাইওয়ান প্রণালী: চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনাও ক্রমশ সংঘাতের রূপ নিচ্ছে। তাইওয়ানে নতুন সরকার গঠনের পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এদিকে এই এসাকায় নাক গলাচ্ছে আমেরিকাও। যা পরিস্থিতির গভীরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই এলাকার সংঘাতও, যে কোনও সময় বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হতে পারে।
পূর্ব ইউরোপ: বিশ্বযুদ্ধ শুরুর হতে পারে, এমন ,সম্ভাব্য জায়গাগুলির তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে পূর্ব ইউরোপ অঞ্চল। রাশিয়া, ইউক্রেন ও ন্যাটোর বিরোধের কারণে এই অঞ্চলেও জল গরম হচ্ছে। যে কোনও সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে।
দক্ষিণ চিন সাগর: দক্ষিণ চিন সাগরের কর্তৃত্ব নিয়ে চিন ও প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে ক্রমাগত বিরোধ চলছে। এই বিরোধে ইন্ধন যোগাচ্ছে আমেরিকার মতো পরাশক্তি। এই অবস্থায় যে কোনও সময় উত্তেজনা চরমে পৌঁছতে পারে এবং সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বিশ্বযুদ্ধ এখান থেকেও শুরু হতে পারে।
ভারত-পাকিস্তান: স্বাধীনতার সময় থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা জারি রয়েছে। সীমান্তে নিয়মিত গোলাগুলি বিনিময় হয়। দু-দুবার সরাসরি যুদ্ধ হয়েছে। তবে, উত্তেজনা সীমাবদ্ধ থেকেছে দুই দেশের মধ্যেই। অন্যান্য দেশে এর প্রভাব পড়েনি। গত ৪ বছর ধরে সীমান্তে আপাত শান্তি রয়েছে। তা সত্ত্বেও, চ্যাটজিপিটির মতে, এখান থেকেও বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। কারণ দুই দেশই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।