Nepal Plane Crash: নেপাল যেন বিমান দুর্ঘটনার ‘আঁতুড়ঘর’! কী কী ভাবে ভেঙে পড়েছিল অতীতের বিমানগুলি

Accident Timeline: অতীতে বহুবার সে দেশে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে এবং প্রচুর মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সে দেশের এয়ারলাইন্স ব্যবসা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ রয়েছে।

Nepal Plane Crash: নেপাল যেন বিমান দুর্ঘটনার 'আঁতুড়ঘর'! কী কী ভাবে ভেঙে পড়েছিল অতীতের বিমানগুলি
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2023 | 4:59 PM

কাঠমান্ডু: নেপালের পোখরায় বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬৭ জনের। কাঠমান্ডু থেকে পোখরা বিমানবন্দরে আসার সময় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ৭২ আসনের ওই বিমানটি রবিবার সকাল ১১ নাগাদ ভেঙে পড়ে। টেক অফের ২০ মিনিট পর এই দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। তবে নেপালে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা এই প্রথম নয়। অতীতে বহুবার সে দেশে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে এবং প্রচুর মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সে দেশের এয়ারলাইন্স ব্যবসা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ রয়েছে। সেখানর বিমান চলাচল ব্যবস্থায় নিরাপত্তার গলদ এবং প্রশিক্ষক প্রাপ্ত পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। সে জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৩ সাল থেকেই নেপালে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল। এক নজরে দেখে নিই নেপালে অতীতে ঘটনা কিছু বিমান দুর্ঘটনা।

২০২২ সালের মে মাসেও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল নেপালে। টাটা এয়ার সংস্থার একটি বিমান ভেঙে পড়ে নেপালের পার্বত্য এলাকার মুসতাং জেলায়। সেই ঘটনায় ১৬ জন নেপালি, ৪ ভারতীয় এবং ২ জার্মান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল।

২০১৯ সালে কাঠমান্ডু ফিরে আসার সময় একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়। এর মধ্যে ছিলেন নেপালের পর্যটন মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী।

২০১৮ সালের মার্চে এক বিমান দুর্ঘটনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর আগুন লেগে যায় ওই বিমানে। ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন সেই বিমানে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেও দুর্ঘটনা ঘটে নেপালে। ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই দুর্ঘটনায়। নেপালের কালিকোট জেলায় ঘটে সেই দুর্ঘটনা।

২০১৫ সালের মে মাসে আমেরিকার নৌবাহিনীর একটি চপার ভেঙে পড়ে নেপালে। সেই ঘটনায় ৬ মার্কিন সেনা ও দুই নেপালি সেনা-সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার সময় এই বিপর্যয় ঘটেছিল।

২০১২ সালের মে মাসে নেপালের পার্বত্য এলাকায় একটি ডোরিনার বিমান ভেঙে পড়ে। সেই ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ছিল ১৩ জন ভারতীয় তীর্থযাত্রী। পোখরা বিমানবন্দর থেকে জমসম বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ঘটে সেই দুর্ঘটনা।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বুদ্ধ এয়ারলাইন্সের পর্যটক বোঝাই একটি বিমান ভেঙে পড়ে। পাহাড়ে ধাক্কা মারার জেরে ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। ওই বিমানের ১৯ জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে ছিলেন ১০ ভারতীয়।

২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরেও পূর্ব নেপালে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে ২৪ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।

২০০১ সালের নভেম্বরে পশ্চিম নেপালে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে ৬ জনের মৃত্য হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন রাজকু্মারী প্রেক্ষা শাহ।

২০০০ সালে জুলাই মাসে রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ধানঘাধি যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে। বিমানের তিন ক্রু এবং ২২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।

এর আগে ১৯৯৩ সালে জুলাই, ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সালের জুলাই এবং ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল নেপালে।