AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Turkey Earthquake: ১৪ দিন পর ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত তুরস্কের উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ, মৃত ৪০ হাজারের বেশি

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের জেরে ১ লক্ষ ৫ হাজার বাড়ি ধসে পড়েছে। সেগুলি ছাড়াও ভূমিকম্পে আরও যে বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলতে হবে।

Turkey Earthquake: ১৪ দিন পর ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত তুরস্কের উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ, মৃত ৪০ হাজারের বেশি
প্রতীকি ছবি।
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 12:31 AM
Share

আঙ্কারা: টানা ১৪ দিন ধরে দিন-রাত এক করে কাজ চালানোর পর অবশেষে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধারকাজ বন্ধ করা হল। রবিবার সন্ধ্যায় তুরস্ক বিপর্যয় সংস্থার তরফে অফিসিয়ালিভাব উদ্ধারকাজ বন্ধের খবরটি জানানো হয়। তুরস্ক বিপর্যয় সংস্থার প্রধান ইউনুস সিজার বলেন, আমাদের বহু প্রদেশেই তল্লাশি এবং উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ। কেবল কাহারমানমারাস এবং হাতায় প্রদেশে উদ্ধারকারী দল এখনও কাজ চালাচ্ছে। এই দুটি এলাকাই ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।

এদিন উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে ইউনুস সিজার জানান, ভূমিকম্পের পর থেকে ১৪ দিনের মাথায় রবিবার প্রায় ৪০টি বিল্ডিংয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। অবশেষে তুরস্ক বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার তরফে জানানো হয়, ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৬৮৯। অন্যদিকে, সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩৭৭। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে আর জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ইউনুস সিজার জানিয়েছেন। শনিবারই ভূমিকম্পের ২৯৬ ঘণ্টার মাথায় তুরস্কের দক্ষিণ শহর আন্তাকিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে জীবিত অবস্থায় এক দম্পতিকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে তাঁদের শিশু সন্তানদের উদ্ধার করা যায়নি।

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের জেরে ১ লক্ষ ৫ হাজার বাড়ি ধসে পড়েছে। সেগুলি ছাড়াও ভূমিকম্পে আরও যে বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্কে ও সিরিয়া সীমান্ত। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৮। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। ধসে পড়েছে বহু বাড়ি। তারপর এই ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও চারবার কেঁপে ওঠে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ। বহুবার অনুভূত হয় আফটার শক। তারপর উদ্ধারকাজ যত এগোয়, ততই মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বলা যায়, মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় এই দুটি দেশ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।