জেনেভা: নতুন রূপে হানা দিয়েছে করোনা (COVID)। যার জেরে হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি। লন্ডনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেট হ্যানক নতুন এই ‘স্ট্রেন’ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করার পরই ব্রিটেনের সঙ্গে সংযোগ বন্ধ করেছিল বিশ্বের একাধিক দেশ। কিন্তু তাতেও সম্ভব হয়নি করোনার নতুন রূপকে রোখা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে ব্রিটেনের ‘সুপারস্প্রেডার।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে বিশ্বের ৫০ টি দেশে হদিশ মিলেছে ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেনের। তবে শুধু ব্রিটেনের ‘স্ট্রেন’ নয়, ভয় বাড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা স্ট্রেনও। হু জানিয়েছে, বিশ্বের ২০ টি দেশে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন। ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে সংক্রমণের গতি বাড়াচ্ছে জাপানের করোনা স্ট্রেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় করোনার জাপান স্ট্রেন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ-ও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও ‘স্ট্রেনের’ সন্ধান মিলতে পারে। ১৪ ডিসেম্বর প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ব্রিটেনের ‘স্ট্রেন।’ তারপর থেকে সারা বিশ্বের প্রায় ৫০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে ‘স্ট্রেন’ ভিওসি ২০২০১২/০১। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনার ভিন্ন ‘স্ট্রেন’ ধরা পড়েছিল ১৮ ডিসেম্বর। তারপর বিশ্বের প্রায় ২০ টি দেশে ছড়িয়েছে ‘স্ট্রেন’ ৫০১ওয়াই.ভি২।
আরও পড়ুন: ব্যান করে ‘সর্বনাশা ভুল’ করেছে, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিটেনে যখন করোনার নয়া ‘স্ট্রেন’ ছড়াতে শুরু করে, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, আগের করোনাভাইরাসের থেকে ৭০ শতাংশ দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে নয়া ‘স্ট্রেন।’ যদিও সংক্রমণের দ্রুততা নিয়ে ল্যাবেরোটরির কোনও তথ্য প্রমাণ মেলেনি। ব্রিটেনে নয়া ‘স্ট্রেনের’ বাড়বড়ন্ত দেখা দেওয়ার পর ভারতও উড়ান পথে সংযোগ বন্ধ করেছিল। কিন্ত তাতেও সম্ভব হয়নি সংক্রমণ রোখা। দেশে একাধিক ব্যক্তি করোনার নয়া ‘স্ট্রেনে’ আক্রান্ত হয়েছেন।