মস্কো: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) ইতিমধ্যেই ১৬ দিনে পড়েছে। দু’দেশের মধ্য একাধিকবার আলোচনা হলেও এখনও সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধান হয়নি। এখনও দু’দেশের মধ্য চলা যুদ্ধের স্থায়ী বিরতির কোনও সম্ভাবনা নেই। ১৬ দিন হয়ে গেলেও মস্কোর কিয়েভ দখল এখনও অধরাই থেকে গিয়েছে। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) নেতৃত্বে শক্তিশালী রুশ সেনা বাহিনীকে এখনও কোনক্রমে আটকে রেখেছে ইউক্রেন সেনা। প্রেসিডেন্টের আবেদনে সারা দিয়ে অনেক সাধারণ নাগরিক রাশিয়ার বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। ইউক্রেনের তরফে আগেও একাধিকবার দাবি করা হয়েছিল, শক্তিতে রাশিয়া অনেকে এগিয়ে থাকলেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তার ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অসংখ্য রুশ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, অসংখ্য ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে। এবার ইউক্রেনের তরফে আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এল। কিয়েভের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের জন্য সেনা বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষস্তরের অনেক আধিকারিককে বরখাস্ত করেছে। দ্য ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস খারাপ রণকৌশলের জন্য অনেক আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে, এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সচিব অলেক্সি ড্যানিলভ।
ইউক্রেনিয়ান সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদার প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার বিপর্যয়ের ফলে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ৮ জন শীর্ষ সেনা আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। ওই সংবাদপত্রে এটাও দাবি করা হয়েছে, কিয়েভ দখলে এখন নয়া রণকৌশল নিয়েছে মস্কো। ড্যানিলভ ওই সংবাদপত্রকে জানিয়েছন, “রাশিয়া এখন যুদ্ধ জয়ের জন্য নতুন লোকেদের নিয়োগ করছে। রাশিয়াতে এখন কী চলছে তা আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি। আমি বলতে পারি রুশরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনে আক্রমণের আগে রাশিয়া ভাবতেই পারেনি গোটা দেশ তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে যাবে।”
ইউক্রেনের বিদেশ সচিব রাশিয়ার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়েছেন, “কিয়েভ দখলের রাস্তা এতটাও সহজ হবে না। রাশিয়ানদের আটকে রাখা কী কঠিন? হ্যাঁ কঠিন, তবে শত্রুকে কখনই উপেক্ষা করা উচিৎ নয়। আমরা সব দিক থেকে তাদের হারিয়ে দিলেও উদ্দেশ্য সফল না হওয়া অবধি তারা আক্রমণ চালিয়েই যাবেন।” প্রসঙ্গত ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন সেনা মহড়া চালিয়ে যাওয়ার পর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অতর্কিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে রুশ সেনাবাহিনী। ইউক্রেনে আক্রমণের পর গোটা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই রাশিয়ার আগ্রাসী নীতির নিন্দায় সরব হয়েছিল। অনেকে দেশই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এখন আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Talk: খালি হাতেই ফিরতে হল চতুর্থ বৈঠক থেকেও, ইউক্রেনের কী কী দাবি মানতে নারাজ রাশিয়া