Pfizer Shot For Children: শিশুদের জন্য জরুরিভিত্তিতে ফাইজ়ার ভ্যাকসিনকে অনুমোদন আমেরিকার
জানা গিয়েছে, ফাইজ়ার (Pfizer Shot For Children) শিশুদের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ৯০ শতাংশ কার্যকরী। এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি
ওয়াশিংটন: বড়সড় পদক্ষেপ বাইডেন সরকারের। এ বার শিশুদের জন্য জরুরিভিত্তিতে ফাইজার ভ্যাকসিনকে অনুমতি দিল আমেরিকা। শুক্রবার, সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় বায়োনটেক সংস্থার ফাইজ়ারকে। ৫ বছর থেকে ১১ বছর বয়সী প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ শিশুকে ভ্যাকসিন (Pfizer Shot For Children) দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
ফাইজ়ারের অনুমোদন মেলায় শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে চিন, চিলি, কিউবা এবং আরব আমিরশাহির তালিকায় জায়গা করে নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA)-এর প্রধান জানেট উডকক এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এক জন মা এবং চিকিৎসক হিসাবে বলতে পারি, এই অনুমোদন কতটা প্রয়োজন ছিল। অধীর অপেক্ষায় ছিলেন অভিভাবক, পরিচারিকা, স্কুলের কর্মীরা। তাঁর কথায়, “শিশুদের ভ্যাকসিন দিতে পারলে স্বাভাবিক জীবনের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাব আমরা।”
জানা গিয়েছে, ফাইজ়ার শিশুদের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ৯০ শতাংশ কার্যকরী। এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। দু’হাজার জনের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ রুখতে ৯০ শতাংশ কার্যকরী ফাইজ়ার। এছাড়াও ৩ হাজারের বেশি শিশুর উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়। ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলে দাবি ফাইজ়রের সংস্থার।
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণে বাদ যায়নি শিশুরাও। প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তিদের উপর করোনা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেললও তুলনামূলকভাবে শিশুদের ক্ষেত্রে মহামারী আকার ধারণ করেনি। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮,৩০০ শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের।
এর থেকেও বড় কথা, শিশুদের করোনা সংক্রমণে বিরল লক্ষণ দেখা মিলেছে। প্রায় ৫ হাজার শিশু আক্রান্ত হয়েছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিন্ড্রম (MIS-C) যা করোনা পরবর্তী লক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই রোগের যথাযথ চিকিৎসা বা ওষুধও নেই বলে দাবি চিকিৎসকদের। এর ফলে শিশুদের জন্য অনেক বেশি উদ্বেগের কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শিশুদের করোনা সংক্রমণ রুখতে ফাইজ়ার কতটা কার্যকরী হয়, এখন সেটা দেখার।
উল্লেখ্য, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে শিশুদের ভ্যাকসিনের জন্য আপদকালীন ছাড়পত্র দিয়েছে কোভিড ১৯ বিশেষজ্ঞ কমিটি। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষা-নিরিক্ষায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সেভাবে দেখা যায়নি। কুড়ি দিন অন্তর দুটি ডোজ়ে এই ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।