উহানে প্রথম নয়, তার ২ সপ্তাহ আগেই করোনার হদিশ পেয়েছিলেন মার্কিন গবেষক, তাও রোখা গেল না কেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Sep 06, 2021 | 12:04 PM

COVID Origin : ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর করোনা সংক্রান্ত এক তথ্যচিত্র দেখেছিলেন কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়ান লিপকিন। অর্থাৎ, প্রথম সংক্রমণের হদিশ পাওয়ার দুই সপ্তাহ আগে।

উহানে প্রথম নয়, তার ২ সপ্তাহ আগেই করোনার হদিশ পেয়েছিলেন মার্কিন গবেষক, তাও রোখা গেল না কেন?
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়াদিল্লি : কেউ বলছেন উহানের ল্যাবরেটরি থেকে করোনার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। আবার কেউ বলছেন মোজ়িয়াং প্রদেশের এক খনি থেকে করোনা ছড়িয়েছে। সত্যিটা কী, এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে সময় যত গড়িয়েছে, তত কাঁচা মাংসের বাজার থেকে করোনার সংক্রমণের তত্ত্ব দুর্বল হয়েছে। সম্প্রতি, কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক দাবি করেছেন, উহানে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার দুই সপ্তাহ আগেই নাকি তিনি করোনার কথা শুনতে পেয়েছিলেন।

কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ান লিপকিন গত শতাব্দীতে সার্স মহামারি নিয়ে গবেষণার জন্য চিনের থেকে সম্মানিতও হয়েছিলেন। তিনিই এখন এমন বিস্ফোরক দাবি করছেন। আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিপকিন জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তিনি প্রথম ‘এক নতুন ভয়াবহ সংক্রমণের’ কথা জানতে পারেন স্পাইক লি পরিচালিত এক তথ্যচিত্র থেকে। আর উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৩১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ, আমরা কেউ তখনও জানিই না করোনার সংক্রমণের বিষয়ে। অথচ, তার দুই সপ্তাহ আগেই লিপকিন এমন একটি তথ্যচিত্র দেখেছেন যেখানে করোনার মতো কোনও এক অতিমারির কথা বলা হচ্ছে।

তবুও চিন দাবি করে আসছে উহানের মতো ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহরে সেই সময়ের আগে মাত্র পাঁচজন এমন রোগী ছিলেন। আর প্রথম সংক্রমণটি নাকি আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে হয়ে থাকতে পারে। এর পরে আরও প্রায় ১৬ দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এই সংক্রান্ত কোনও খবর ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম বিষয়টি নজরে আসে যখন তাইওয়ান করোনার সতর্কতা জারি করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের এই ‘আড়াল করার চেষ্টা’ এবং তার সঙ্গে বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরে আসতে কিছুটা দেরি হওয়া… সব মিলিয়ে এমন একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়, যাতে করোনার সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

অধ্যাপক ইয়ান লিপকিন মনে করছেন, বেজিংয়ের থেকে করোনা সংক্রান্ত তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁর আরও অভিযোগ, সেখানকার চিকিৎসকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সাংবাদিকদের জেলে পর্যন্ত ঢোকানো হয়েছিল পুরো বিষয়টি আড়াল করার জন্য। আর এই সংক্রমণের দায় অন্য দেশগুলির উপর ঠেলে দেওয়ারও চেষ্টা করেছে চিন। এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল যখন উহানে গিয়ে করোনার উৎস সন্ধানের চেষ্টা করছিলেন, তখনও তাঁদের বাধা দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করেছে বেজিং।

মার্কিন গবেষক লিপকিন প্রায় দুই দশক ধরে চিনে সার্স মহামারি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করেছেন। তিনি স্পাইক লি পরিচালিত তথ্যচিত্রটির বিষয়ে কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারেও জানিয়েছেন। এছাড়া ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল’-এ তাঁর কিছু পরিচিতদের সঙ্গে এই ভাইরাসের উৎস সন্ধানে কাজও করছেন তিনি। লিপকিনের এক চিনা গবেষক বন্ধু লু জ়িয়াহাইও তাঁকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন বলে এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন মার্কিন গবেষক। লু জ়িয়াহাইয়ের কথায়, যদি সঠিক সময়ে এই করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করা হত, তাহলে হয়ত ভয়াবহতা অনেকটা সামলানো যেত। আরও পড়ুন : COVID Third Wave: অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘আর ভ্যালু’ পৌঁছালো ১.১৭-তে! কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তৃতীয় ঢেউ?

Next Article