ওয়াশিংটন: ইতিহাসে প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মেয়াদে থাকতেই দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে হচ্ছে। আর তাঁর নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হুঙ্কার, হুঁশিয়ারি, পেন্সের নিষেধাজ্ঞাতেও কোনও লাভ হল না। মার্কিন হাউসে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব নিয়ে এলেন ডেমোক্র্যাট হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। আর মার্কিন সময়ে ঠিক বিকেল ৩ টা বাজলেই শুরু ইমপিচমেন্টের ভোটাভুটি। হাউসে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই হাউসে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তবে শুধু ডেমোক্র্যাটরাই নয়, ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন একাধিক রিপাবলিকান নেতাও। তাই মেয়াদের ৮ দিন আগে ট্রাম্পকে হঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবনায় ভোটাভুটি হবে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে। হাউসের পাস হওয়ার পর সেনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেলে তবেই মার্কিন সংবিধানের ২৫-তম সংশোধন প্রয়োগ করে ইমপিচ করা যাবে ট্রাম্পকে।
জো বাইডেন শপথ নিলে সেনেটের প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা হ্যারিস, তখন সেনেটেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে ডেমোক্র্যাটদের। তবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট বিল এখনই সেনেটে পাস হতে পারবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ থেকে যে রিপাবলিকান দল বেরোতে শুরু করেছে তার প্রমাণ মিলেছে একাধিক রিপাবলিকান নেতার বক্তব্যেই। শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। যার মাধ্যমে জিইয়ে থাকছে ইমপিচমেন্টের সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! কংগ্রেসের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ক্যাপিটল হামলার নেপথ্যে ছিল ট্রাম্পের উসকানি। সেই অভিযোগেই তাঁকে ইমপিচ করার প্রস্তাব আসছে হাউসে। তবে ট্রাম্প অবশ্য এখনও নিজের বক্তব্যকে উস্কানি মানতে নারাজ। তাঁর মতে, তিনি যা বলেছেন একেবারে ঠিক বলেছেন। কিন্তু সেনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক সুমার জানিয়েছেন, সেনেটেও আসবে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। সেক্ষেত্রে যদি ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস হয়ে যায়, তাহলে কোনও সরকারি পদে ভবিষ্যতে বসতে পারবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। জলাঞ্জলি হবে ২০২৪-এ নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনাও।