AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

US Iran Conflict: আলোচনার আড়ালে কি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প?

ইরানি টিভি চ্যানেলের দাবি, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন আসলে আমেরিকা শান্তি চায় না। পেন্টাগন তলে তলে পুরোদমে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র গোয়েন্দা অফিসার প্রেস টিভিকে জানিয়েছেন, 'যদি আমেরিকা যুদ্ধ চায়, তাহলে আমরাও শান্তির জন্য পায়ে পড়ব না। আমাদেরও নষ্ট করার মতো সময় নেই। আমরাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেব।'

US Iran Conflict: আলোচনার আড়ালে কি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প?
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2025 | 5:35 PM
Share

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তেহরানের। ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাওয়া আসলে নাকি ‘আইওয়াশ‘। তলে তলে ইয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ইরানি গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে একথা জানানো হয়েছে। তেহরানের দাবি, আলোচনায় বসতে চাওয়া স্রেফ এক ছুতো। আসলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সময় কিনছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন অস্ত্র ও সেনা মোতায়েনের।

কোন পরিস্থিতিতে এই দাবি করল ইরান?

না যখন ট্রাম্প প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন, ইরান আবার আলোচনায় বসতে চায়। পারমাণবিক গবেষণা নিয়ে হোয়াট হাউসের সঙ্গে ফের চুক্তি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে তেহরান। ট্রাম্প আরও বলেছেন, এখনই আমেরিকার আলোচনায় বসার তাড়া নেই। সময় হলে ধীরে সুস্থে বসা যাবে।

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পরেই ইরানি টিভি চ্যানেলের দাবি, তাদের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন আসলে আমেরিকা শান্তি চায় না। পেন্টাগন তলে তলে পুরোদমে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র গোয়েন্দা অফিসার প্রেস টিভিকে জানিয়েছেন, ‘যদি আমেরিকা যুদ্ধ চায়, তাহলে আমরাও শান্তির জন্য পায়ে পড়ব না। আমাদেরও নষ্ট করার মতো সময় নেই। আমরাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেব।’

তেহরানের অভিযোগ, ইরানকে নিরস্ত্র করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে আমেরিকা। কারণ, আমেরিকা চায় তার বন্ধু ইজরায়েলের দুর্বলতা ঢাকতে। তেহরানের ইঙ্গিত থেকে এটা স্পষ্ট, যে ভবিষ্যতে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে আবার সংঘাত শুরু হতে পারে। ইরানি গোয়েন্দাদের সাফ কথা, আমেরিকা আলোচনা চাইলে সেই আলোচনা সিরিয়াস ও বাস্তবসম্মত হতে হবে। কারও দুর্বলতা ঢাকতে ইরানের সময় নষ্ট করা চলবে না।

ইরান আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের পরমাণু ঘাঁটিগুলিতে মার্কিন হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আগে তার ক্ষতিপূরণ দিক ওয়াশিংটন। তবে ইরান যে আলোচনায় আরও একবার বসতে রাজি সেকথা অস্বীকার করেননি ইরানি সেনা আধিকারিকরা।

ইরানের আর এক সংবাদ সংস্থার দাবি, ইজরায়েলও ফের ইরানে হামলার ছক কষছে। তলে তলে মোসাদের অপারেটরদের আবার অ্যাক্টিভ করতে শুরু করেছে তেল অভিভ। সেই সঙ্গে এবার নাকি মিডিয়াকেও সঙ্গে নিয়ে নামছে ইজরায়েল। ইরানের অভিযোগ, ইজরায়েলি ও মার্কিন মিডিয়াতে টানা ইরানের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে। তেহরান একে ‘ওয়ার অফ ইনফরমেশন’ বলছে। অর্থাৎ, দুনিয়ার চোখে ইরানকে প্রথমে ছোট করে দেখাও, তারপর ধীরে ধীরে একলা করে দাও। এমনকী ইরানি টিভিতে এটাও প্রচারিত হচ্ছে যে ইজরায়েলের লক্ষ্য, সুপ্রিম লিডারকে সরিয়ে নির্বাসিত রেজা পহলভিকে ইরানের গদিতে বসানো।