ওয়াশিংটন: আমেরিকার তরফে বারংবার সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও, সেই কথা অগ্রাহ্য করেই ইউক্রেন(Ukraine)-র উপরে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া (Russia)। পাল্টা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকাও। বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ইউক্রেনের উপরে যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া এবং তার জেরে যে সঙ্কটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের অনুরোধেই গতকাল রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Vladimir Putin)-র সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
বৃহস্পতিবার ভোরেই রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে, প্রতিবেশী দেশগুলির তরফে যে বিপদ তৈরি হয়েছে, তা প্রতিরোধ করতেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ইউক্রেন দখল করা রাশিয়ার লক্ষ্য় নয়, বরং বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে দমন করার জন্যই এই সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যেহেতু আমেরিকা সহ একাধিক পশ্চিমী শক্তিধর দেশ ইউক্রেনকেই সমর্থন করবে বলে জানিয়েছিল আগে থেকেই, সেই কারণেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, “রাশিয়ার মিলিটারি অভিযানে যদি কেউ নাক গলানোর চেষ্টা করে, তবে ফল ভাল হবে না।”
ইউক্রেনের উপরে রাশিয়া হামলা শুরু করার পরই বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে ভারত আমেরিকার সঙ্গে রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, “ইউক্রেনের সঙ্কট নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলব। এখনও অবধি সমস্যার সমাধান হয়নি।”
অতীতে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সখ্যতা থাকায়, সরাসরি বিরোধের পথে হাঁটছে না কেন্দ্র। অন্যদিকে, বিগত প্রায় এক দশক ধরে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে ইউক্রেনের সমর্থন করবে ভারত, এমনটাও মনে করা হচ্ছে। এই টানাপোড়েনের মাঝেই ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মনে করা হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসনের তরফে একাধিক স্তরে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস ছাড়াও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের তরফেও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য।