US-Russia: ট্রাম্প পাঠাচ্ছেন সাবমেরিন, পাত্তা না দিয়ে আরও বড় চাল দিলেন পুতিন! এবার কী?
US-Russia Clash: 'মৃত অর্থনীতি' বলে ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতিকে খোঁচা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা রাশিয়ার 'ডেড হ্যান্ড' সিস্টেমের কথা মনে করিয়ে দেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।

মস্কো: ট্রাম্পের খোঁচা, তারপরই পাল্টা জবাব প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্টের। সোশ্যাল মিডিয়ার তর্ক এত দূর গড়িয়ে গিয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মোতায়েন করা হয়েছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন। তবে কি এবার সমুদ্রে যুদ্ধে নামবে রাশিয়া-আমেরিকা? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যেই হবে?
‘মৃত অর্থনীতি’ বলে ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতিকে খোঁচা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা রাশিয়ার ‘ডেড হ্যান্ড’ সিস্টেমের কথা মনে করিয়ে দেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেন যে ট্রাম্প ভয়ঙ্কর গেম খেলছে রাশিয়ার সঙ্গে। এই খেলা যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। প্রত্যেকটা শর্তই হুমকি এবং যুদ্ধের দিরে এক ধাপ এগোনো।
ট্রাম্প আবার তাঁর জবাবে বলেন, “রাশিয়ার ব্যর্থ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভকে বলে দিন, যিনি এখনও নিজেকে প্রেসিডেন্ট ভাবেন, তার নিজের কথাবার্তা সামলানো উচিত। খুব ভয়ঙ্কর জায়গায় ঢুকে পড়ছেন তিনি”। এরপরই মেদভেদেভ তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লেখেন যে ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতির কথা বলতে গেলে, তাঁর ‘ডেড হ্যান্ড’-এর কথা মনে রাখা উচিত, যে সেটা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই ‘ডেড হ্যান্ড’ হল সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি করা একটি ব্যবস্থা, যা ঠান্ডা যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের উপরে হামলা হলে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠত ডেড হ্যান্ড, পরমাণু হামলা চালাত। সেই ডেড হ্য়ান্ডের কথাই মনে করিয়ে দেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
তবে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বরং দেশের ক্ষেপণাত্র উৎপাদন আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা দফতরকে। পাশাপাশি ইউক্রেনের আরও ভিতরে ঢুকতেও নির্দেশ দিয়েছেন সেনাকে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দনেৎস্ক, লুহান্স্ক, জ়াপোরজিয়া সীমান্ত বরাবর এগোচ্ছে রুশ সেনা।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করেই তলানিতে ঠেকেছে রুশ-আমেরিকা সম্পর্ক। শান্তি আলোচনায় না বসলে রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেদভেদেভের সঙ্গে সোশ্যাল মাধ্যমে সংঘাতের পরই রাশিয়ার উদ্দেশে দুটি পরমাণু সাবমেরিন পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও সাবমেরিন দুটি পরমাণু জ্বালানি চালিত নাকি পরমাণু অস্ত্র বহনকারী সেটা স্পষ্ট নয়। তবে পরমাণু যুদ্ধের জন্য আমেরিকা প্রস্তুত, সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই প্রস্তুতি বলেন ট্রাম্প।

