USA: হামলার মুখে মার্কিন বাহিনীও, লোহিত সাগরে পড়ল হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Oct 20, 2023 | 1:11 PM

USA: ইয়েমেনের দিক থেকে উড়ে আসা তিন-তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে নামিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি রণতরী। সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজরায়েলের দিকে ছুটে যাচ্ছিল বলে দাবি করেছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতে একের পর এক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন বাহিনী।

USA: হামলার মুখে মার্কিন বাহিনীও, লোহিত সাগরে পড়ল হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র
ইরাকের আইন আল আসাদ সেনা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

ওয়াশিংটন: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে উত্তেজনা বেড়েছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। আর তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইজরায়েলের প্রদান সমর্থন আমেরিকার উপরও। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে, গত কয়েকদিন ধরে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে হুমকি ক্রমে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের দিক থেকে উড়ে আসা তিন-তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে নামিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি রণতরী। সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজরায়েলের দিকে ছুটে যাচ্ছিল বলে দাবি করেছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতে একের পর এক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন বাহিনী।

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এক কূটনৈতিক সহায়তা কেন্দ্রে মার্কিন সেনা ও জোট বাহিনীর উপর একটি রকেট হামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রটি লক্ষ্য করে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু, মার্কিন সেনার কাউন্টার-রকেট সিস্টেম একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকে দেয়। অপর ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি খালি স্টোরেজে আঘাত হানে। ওই কর্তা জানিয়েছেন, কারও হতাহতের খবর নেই।

তার আগে, লোহিত সাগরের উত্তরে মার্কিন নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার রণতরী, ‘ইউএসএস কার্নি’, তিনটি ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল এবং বেশ কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে সাগরে নামায়। ওই ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলি ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধা বাহিনী ছুড়েছিল বলে দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্রগুলির নিশানা মার্কিন রণতরী ছিল না। ইজরায়েল লক্ষ্য করেই ওই হামলা করা হয়েছিল। এই হামলার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দিতে চাননি মার্কিন সেনা কর্তা। তবে তিনি বলেছেন, “যে যেকোনও হুমকির বিরুদ্ধে মার্কিন ও জোট বাহিনীকে রক্ষা করতে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেব। আর আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব, আমাদের পছন্দমতো সময়ে।”

ইয়েমেনে, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই চলছে সেখানকার যোদ্ধা গোষ্ঠী হুথির। প্যালেস্টাইনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লার মতো ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদেরও পিছন থেকে সমর্থন দেয় ইরান। কাজেই হুথীদের এই হামলার পিছনে ইরানের সমর্থন রয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, “এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি, ইজরায়েলি অসামরিক নাগরিকদের উপর হামাসের আক্রমণের ফলে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তার আঞ্চলিক বৃদ্ধি এবং বিস্তৃত বিস্তৃতি রোধ করার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের।” পশ্চিম এশিয়ায় ইজরায়েলের সামুদ্রিক শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে, গত দুই সপ্তাহে এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌ-শক্তি বাড়িয়েই চলেছে। দুটি বিমানবাহী রণতরী, অন্যান্য বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ এবং প্রায় ২০০০ নৌসেনাকে নিয়েগ করা হয়েছে।

Next Article