ওয়াশিংটন: ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে ইজরায়েলে। গত সপ্তাহের শনিবার থেকে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে প্যালেস্তাইনের হামাস বাহিনী। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইজরায়েল সরকারও। আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণা করেছে নেতানিয়াহু সরকার। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। বুধবার ভোরেই ইজরায়েলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পৌঁছল আমেরিকার প্রথম বিমান। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইজরায়েলের উপরে হামাসের হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। হামাসের আক্রমণে কমপক্ষে ১৪ জন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মঙ্গলবারই হোয়াইট হাউস থেকে ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন বিশ্বে সত্যিকারের শয়তানের তাণ্ডব হয়। ইজরায়েলের মানুষদের সেই সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের রক্তাক্ত হাত, যাদের লক্ষ্য়ই হল ইহুদিদের হত্যা করা। ইজরায়েলের পাশে আমাদের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।”
বাইডেন আরও বলেন, “এটা সম্পূর্ণরূপে শয়তানের কাজ। ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্য়া করা হয়েছে। শুধু খুন নয়, নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে ইজরায়েলে। এরমধ্যে কমপক্ষে ১৪ জন আমেরিকার নাগরিকও রয়েছেন। অভিভাবকদের খুন করা হয়েছে, যারা নিজেদের শরীর দিয়ে সন্তানকে আগলে রেখেছিলেন। শিশুদের হত্যার খবর আসছে। এক একটা পরিবার সম্পূর্ণ নিকেশ করে দেওয়া হচ্ছে। শান্তির লক্ষ্যে আয়োজিত সঙ্গীত উৎসবেও যুবক-যুবতীদের গণহত্যা করা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, সামরিক সাহায্যের পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকেও ইজরায়েলকে সমর্থন জানাচ্ছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবারই ইজরায়েলে যেতে পারেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন। আজ, বুধবার ইজরায়েলে পৌঁছয় প্রথম অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই মার্কিন বিমান। নেভাতিম এয়ারবেসে অবতরণ করেছে ওই মার্কিন বিমান। আমেরিকা থেকে পাঠানো এই অস্ত্র ইজরায়েলি সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।