Putin: ৭১তম জন্মদিন দেখতে চান, সাইবেরিয়ান লাল হরিণের শিং-এর রক্তে স্নান করছেন পুতিন

Vladimir Putin: ভ্লাদিমির পুতিন না কি সাইবেরিয়ান লাল হরিণের শিং-এর রক্তে স্নান করেন। কেন জানেন?

Putin: ৭১তম জন্মদিন দেখতে চান, সাইবেরিয়ান লাল হরিণের শিং-এর রক্তে স্নান করছেন পুতিন
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পুতিনের স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়িয়েছে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2022 | 8:47 AM

মস্কো: শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ৭০তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে, বহু রুশ বিশেষজ্ঞের মতে সম্ভবত এটাই তাঁর শেষ জন্মদিন। ৭১তম জন্মদিন হয়তো আর দেখা হবে না একচ্ছত্র রুশ নেতার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়িয়েছে। কখনও শোনা যাচ্ছে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত, কেউ বলছেন তিনি পারকিনসনস রোগে ভুগছেন। এরই মধ্যে জানা গেল, ভ্লাদিমির পুতিন না কি সাইবেরিয়ান লাল হরিণের শিং-এর রক্তে স্নান করেন। কেন জানেন?

‘দ্য সান’ পোর্টালের এক প্রতিবেদনে ক্রেমলিনের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, বার্ধক্য রোধ করতেই সাইবেরিয়ান লাল হরিণের শিং-এর রক্তে স্নান করে থাকেন রুশ প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার প্রচলিত বিশ্বাস, এই নৃশংস অনুশীলনে পুরুষদের কামশক্তি উন্নত হয়। তার ফলে পুরুষদের অপেক্ষাকৃত তরুণ দেখায়। এক রুশ হরিণ পালক বলেছেন, “এটা কোনও ওষুধ নয়। এটাকে শরীরের একটি পরিপূরক বলা যেতে পারে। কিন্তু এটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে দেয়। পুরুষদের দারুণ শক্তি দেয়, বিষশেষ করে তাদের লিবিডো বা কামশক্তি অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়।”

৭১তম জন্মদিন দেখার আশায় সত্যিই হরিণের শিং-এর রক্তে স্নান করেন কি না রুশ প্রেসিডেন্ট, তা নিশ্চিত করার উপায় নেই। তবে, বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতির প্রেক্ষিতে তিনি একেবারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। ৭০তম জন্মদিনে তিনি একমাত্র একজন রাষ্ট্রনেতার কাছ থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন একটি আন্তরিক বার্তা পাঠিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ‘ওয়ার্কার্স পার্টি’র মুখপত্র, ‘রোডং সিনমুন’ জানিয়েছে, পুতিনকে পাঠানো চিঠিতে কিম বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের অনুগত বাহিনীর চ্যালেঞ্জ ও হুমকি থেকে রাশিয়া তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং মৌলিক স্বার্থকে নির্ভরযোগ্যভাবে রক্ষা করছে। আপনার বিশিষ্ট নেতৃত্ব এবং দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ছাড়া এমন বাস্তবতা কল্পনা করা যেত না।”

ইউক্রেনে অবশ্য বর্তমানে ব্যাকফুটে রাশিয়া। প্রবল প্রতিরোধের মুখে দলে দলে রুশ যোদ্ধারা অস্ত্রশস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করছেন বলে নিয়মিত খবর আসছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ এবং পূর্বে ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণে রুশ দখল মুক্ত হয়েছে খারকিভ শহর। এমনকি, ডনবাসেও পিছু হটছে রুশ সৈন্যরা। বর্তমানে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা, রুশ সৈন্যের সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।