Vladimir Putin: ৭০-এ পা দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন! জাঁকজমক নয়, কেন নিভৃতেই এবারের জন্মদিন পালন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের?
Vladimir Putin: শুক্রবার পুতিনের জন্মদিন উপলক্ষে চেচেন নেতা রামজ়ান কাদিরভ বলেন, "আজ, আমাদের জাতীয় নেতা তথা বর্তমান সময়কালের অন্যতম প্রভাবশালী ও অসামান্য ব্যক্তি, বিশ্বের এক নম্বর দেশপ্রেমিক, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের জন্মদিন।"
মস্কো: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেই গোটা বিশ্বের কাছে ‘ভিলেন’ হয়ে গিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই কারণেই হয়তো এবার ধুমধাম করে পালন করলেন না জন্মদিন। শুক্রবারই ৭০ বছরের পা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অতি সামান্য ভক্তদের নিয়েই তিনি বাড়িতে জন্মদিন পালন করেন। প্রতি বছর তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে যে বিশাল আড়ম্ভরের আয়োজন করা হত, তার কিছুই করা হয়নি এবার।
বিগত ২৩ বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। প্রত্যেকবারই ধুমধাম করে পালন করা হয় তাঁর জন্মদিন। অন্যবারের মতো জাঁকজমক নয়, এবারের জন্মদিন নিতান্ত সাদামাটাভাবেই পালন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কাজের মধ্যে দিয়েই তিনি পালন করেন জন্মদিন। সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির তরফেও জানানো হয়েছে, জন্মদিন ও সেই সংক্রান্ত অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলি নিয়ে এবার মাতামাতি করতে নিষেধ করা হয়েছিল মস্কোর তরফে।
Enviamos nuestro abrazo al hermano presidente y digno líder de la Federación de Rusia, Vladimir Putin, quien hoy celebra un año más de vida y de lucha por la integridad de su heroico Pueblo. ¡En Venezuela tiene amigos de verdad! pic.twitter.com/mkQsvmRmpw
— Nicolás Maduro (@NicolasMaduro) October 7, 2022
শুক্রবার পুতিনের জন্মদিন উপলক্ষে চেচেন নেতা রামজ়ান কাদিরভ বলেন, “আজ, আমাদের জাতীয় নেতা তথা বর্তমান সময়কালের অন্যতম প্রভাবশালী ও অসামান্য ব্যক্তি, বিশ্বের এক নম্বর দেশপ্রেমিক, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের জন্মদিন। তিনি ৭০ বছরে পা দিলেন। তিনিই বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান বদলে দিয়েছেন এবং আমাদের দেশকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করেছেন।”
তবে এবার পুতিনের জন্মদিনে বিশেষ কোনও আয়োজন না করার পিছনে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধকেই কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতিই প্রেসিডেন্ট পুতিন যে আংশিক সামরিক গতিবিধি বাড়ানোর ঘোষণা করেন এবং সাধারণ নাগরিকদেরও যুদ্ধের অংশ হতে বাধ্য করেন, তাতে ক্ষুব্ধ দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। পাশাপাশি তিনি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকেও রাশিয়ার স্বাধীন অংশ বলে ঘোষণা করেছেন।
ইউক্রেনের ১৫ শতাংশ, যার অধীনে যুদ্ধ বিধ্বস্ত খেরসন, ঝাপোরঝিয়া, লুহানস্ক ও দোনেস্ক অন্তর্গত। মস্কোয় বড় মাপের অনুষ্ঠান করেই পুতিন এই চার অঞ্চলের অধিগ্রহণের মউ স্বাক্ষর করেন। নিজেদের অঞ্চলকে সর্ব ক্ষমতা দিয়ে রক্ষা করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন।