‘বের করে দিতে বাধ্য হব’, আদালতে বিচারকের সঙ্গে চরম বাদানুবাদ মানিকের

বিচারক প্রশ্ন করেন, "আপনি কি দোষী না দোষী নন?" উত্তরে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, "আমি দোষ মানব তখনই, যখন মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদনের আদেশের কপি পাব।"

'বের করে দিতে বাধ্য হব', আদালতে বিচারকের সঙ্গে চরম বাদানুবাদ মানিকের
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2025 | 6:40 PM

কলকাতা: আদালতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠন হচ্ছে। হাজির প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। কোন কোন ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত তিনি, কীসের টাকা তাঁর পকেটে ঢুকেছে, সেই সব এদিন উল্লেখ করেন বিশেষ ইডি আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা।

বিচারক বলেন, “আপনি প্রাথমিক বোর্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থেকে কোটি কোটি টাকা কমিয়েছেন। আপনি অন্যতম অভিযুক্ত। আপনি অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন। উচ্চপদে থেকে চাকরি দিয়েছেন অবৈধভাবে।”

সামনে মানিককে রেখে বিচারক আরও বলেন, “প্রাথমিক বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদের অপব্যবহার করেছেন আপনি। তাপস মণ্ডলের সঙ্গে যুক্ত থেকে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছেন মোটা টাকার বিনিময়ে। কোভিডের সময়ে অনলাইন ক্লাসের নামে টাকা নেওয়া হয়েছে। টাকা গিয়েছে আপনার ছেলের সংস্থায়। আপনার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে গিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র আপনার সঙ্গে রোজ মোবাইলে যোগাযোগ রাখতেন। আপনার অফিসে যেতেন। চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা দিতেন। আপনি আপনার পদের অপব্যবহার করে মানি লন্ডারিং করেছেন।”

এরপর বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপনি কি দোষী না দোষী নন?” উত্তরে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি দোষ মানব তখনই, যখন মামলা থেকে অব্যাহতির যে আবেদন করেছি, তার অর্ডার কপি পাব।” এরপর বিচারক আবারও প্রশ্ন করেন, “আপনি দোষ স্বীকার করবেন, না কি করবেন না?” মানিকের জবাব, “স্যার আমার বক্তব্য রেকর্ড করা হোক।”

এ কথা শুনে বিচারক বলেন, “আমি এটা ধরলাম যে আপনি দোষ স্বীকার করলেন না। এই পর্যায়ে অন্য কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।” আবারও মানিক প্রশ্ন করেন, “আমি কিছু বলতে পারব না?” বিচারকের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করায় ক্ষুব্ধ হন বিচারক। তিনি বলেন, “মানিকবাবু বাইরে গিয়ে বসুন নাহলে বাইরে বের করতে বাধ্য হব।”

এরপর কথা বলেন মানিকের আইনজীবী গোপাল হালদার। তিনি বলেন, “আপনি শুনতে চাইছেন না। আমাদের কথা শুনুন। এটা তো ডিকটেশন হয়ে যাচ্ছে।” তবে তারপরও কিছু শুনতে চাননি বিচারক।