Sujay Krishna: সদ্য ভেন্টিলেশন কাটিয়ে ওঠা ‘কাকু’ জজকে দেখে প্রশ্ন করলেন, ‘টাকা নিয়েছি, কে বলল?’
Sujay Krishna Bhadra: বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সম্প্রতি জ্ঞান হারানোয় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আপাতত।
কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন হল। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোনও চার্জ গঠন করা হল। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন দিয়েই সোমবার শুরু হয় সেই প্রক্রিয়া। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অসুস্থ থাকায় এর আগে বারবার পিছিয়ে গিয়েছে নিয়োগ মামলার চার্জ গঠন প্রক্রিয়া। এদিন আদালতে হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন তিনি।
বিচারক সুজয়কৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন, “কেমন আছেন আপনি? আপনি সচেতন আছেন তো? আপনি বুঝতে পারছেন তো?” সুজয়কৃষ্ণের উত্তর, “বুঝতে পারছি না স্যার।” বিচারক আবারও বুঝিয়ে বলেন, “আপনি কোর্টে এসে যে জজকে দেখেছেন, সেই জজ বলছি। এবার চিনতে পারছেন তো?” এবার উত্তর এল, “হ্যাঁ স্যার।”
বিচারক সুজয়কৃষ্ণকে বলেন, “সুজয়বাবু, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে আপনি বড়সড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই কাজটা করার জন্য মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ, কুন্তল ঘোষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আপনি বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। আপনি লিপস্ অ্যান্ড বাউন্ডসের বড় কর্মকর্তা ছিলেন। দুর্নীতির টাকা থেকে আয় লুকিয়ে রাখার কাজ করেছেন আপনি। আমার মনে হয়েছে আপনি বেআইনিভাবে রোজগারের কাজে যুক্ত ছিলেন। তাই আপনার বিরুদ্ধে পিএমএলএ আইনের ৪ নম্বর ধারায় চার্জ গঠন করা হচ্ছে।”
তিনি দোষী কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে ‘কাকু’ বলেন, “আমি টাকা নিয়েছি, কে বলল?” বিচারক বলেন, “এজেন্সির তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। আপনি কি দোষী?” এবারও ‘কাকু’ বলেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ স্যার।” অসুস্থ হলেও দোষ কোনও অবস্থাতেই স্বীকার করেননি ‘কাকু’। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুজয়কৃষ্ণকে। ভেন্টিলেশনেও রাখতে হয় তাঁকে। আপাতত হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।