Iran Hijab Protest: ‘মাহসার মৃত্যু মারধরে ঘটেনি, অসুস্থতাই দায়ী’, দাবি তেহরানের

Mahsa Amini Death: মাহসা আমিনির মৃত্যু, হাতাহাতি বা মারধরের জন্য ঘটেনি। পূর্ব অসুস্থতাই তাঁর মৃত্যুর কারণ। ইরানের দাবি, মেডিক্যাল রিপোর্টে তাই জানা গিয়েছে।

Iran Hijab Protest: 'মাহসার মৃত্যু মারধরে ঘটেনি, অসুস্থতাই দায়ী', দাবি তেহরানের
গোটা দেশে আগুন জ্বলে গিয়েছে মাহসার মৃত্যুতে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2022 | 6:10 PM

তেহরান: ইরানি কুর্দি মহিলা মাহসা আমিনির মৃত্যু, হাতাহাতি বা মারধরের জন্য ঘটেনি। পূর্ব অসুস্থতাই তাঁর মৃত্যুর কারণ। নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের তরুণীর মৃত্যুর তিন সপ্তাহ পর, শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর সরকারী মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করা হল। যে মৃত্যু বর্তমানে গোটা ইরানে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে মহিলারা কঠোর হিজাব বিধির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কঠোর ইসলামি আইন প্রয়োগের বিরোধিতা করছেন সেই দেশের নারী-পুরুষরা।

গত সেপ্টেম্বরে তেহরান শহরে ২২ বছরের মাহসাকে আটক করেছিল নীতি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে হিজাব দিয়ে তার চুল ঠিকমতো না ঢেকে রাখার অভিযোগ ছিল। আটকের সময় সে তার ভাইয়ের সঙ্গে ছিল। এরপর তাঁকে একটি থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর আচমকাই মাহসা কোমায় চলে যান। এক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। তিন দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই সারা ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে রাস্তায় মিছিল করে, সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছে।

তাদের এই প্রতিবাদ ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে। আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সেখানকার নিপীড়িত মহিলারা। ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুর্কি, ইসরাইল, ইটালি – একের পর এক দেশের জনগণ ইরাকের স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতিবাদের প্রতি সংহতি দেখাচ্ছেন। বৃহস্পতিবারই ইউরোপীয় সংসদে সুইডিশ সাংসদ আবির আল-সাহলানি নিজের চুল কেটে ফেলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেলিব্রিটিরাও এই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন।

একেবারে শুরু থেকেই কড়া হাতে এই প্রতিবাদ দমন করতে চেয়েছে ইরান। ইরানের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল-খামেনেই বলেছেন, মাহসার মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু, সেই মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া তাঁর মতে স্বাভাবিক নয়। তিনি আরও দবি করেছেন, এই প্রতিবাদ আসলে আমেরিকা-ইসরাইলের মতো ইরানের শত্রু দেশের পরিকল্পিত প্রতিবাদ। বিদেশে বসবাসকারী একাংশের বিশ্বাসঘাতক ইরানিদের সহায়তায় তারা এই হিংসাত্মক প্রতিবাদের নকশা করেছে।