
২০১৬ সালের মে মাস। বাংলাদেশের গাজীপুরে একটি গাড়ির মেরামতের দোকানে বসেছিলেন শেখ মহম্মদ সেলিম। কাজের সূত্রে থাকতেন মালয়েশিয়ায়। বাংলাদেশে ফিরেছিলেন বিয়ে করতে। পরিবারের বাস-গাড়ির ব্যবসা। আচমকা ২৯ মে সকালে ওই গাড়ি সারাইয়ের দোকান থেকে তাঁকে একটি বাসে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ৪-৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি। তাঁর হাত বাঁধা হয়েছিল পিছমোড়া করে, চোখও কাপড় দিয়ে বেঁধে তার উপর পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি কালো টুপি। ফলে, সেলিমের কোনও ধারণাই ছিল না, কারা তাঁকে ধরেছেন, কেন তাঁকে ধরা হয়েছে, বা, তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, হাসিনুর রহমানের গল্পটা ছিল অনেকটাই আলাদা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনার এক প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্নেল। সামরিক বাহিনীতে বীরত্বের জন্য পেয়েছিলেন ‘বীর প্রতীক’ খেতাবও। ২০১২ সালে ২৮ বছর চাকরি শেষে তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকা’র দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর, ২০১৮ সালে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। দুজনকেই আলাদা আলাদা সময়ে, ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। তবে, তাঁদের গন্তব্য ছিল অভিন্ন, ‘আয়নাঘর’। আয়নাঘরে ঢোকার পর থেকে দীর্ঘদিন...