Dominique Pelicot Case: স্ত্রী’কে পরপুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করাত স্বামী, একবার নয় কয়েক’শো বার!
Dominique Pelicot Case: ৭২ বছরের ডমিনিকের কম্পিউটার ঘেঁটে তার স্ত্রী গিসেল পেলিকটের ২০ হাজার ধর্ষিত হওয়ার ছবি ও ভিডিয়ো পায় পুলিশ। সেই মুহূর্তেই খবর দেওয়া হয় গিসেলকে।
প্যারিস: আর জি কর-কাণ্ডের রেশ এক জ্বলন্ত কলকাতার ছবি তুলে ধরেছিল মানুষের সামনে। হয়েছিল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিল। তিলোত্তমার অগ্নিগর্ভ রূপের সাক্ষী থেকেছিল শহরবাসী। এই ঘটনার প্রভাব যে শুধু রাজ্য় কিংবা দেশের সীমানা সীমাবদ্ধ ছিল, এমনটা নয়। প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল বিশ্বের একাধিক দেশে। প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল ফ্রান্সেও।
এবার সেই ফ্রান্সের রাজপথ দেখল আরও একটা প্রতিবাদ। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে পথে নামল সাধারণ মানুষ। যখন প্রকাশ্যে এল ডমিনিক পেলিকট ও গিসেল পেলিকটের মামলা। অভিযোগ টানা ১০ বছর ধরে কমপক্ষে ৭০ জন পুরুষকে ডেকে স্ত্রী গিসেলের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছিলেন ডমিনিক।
আর জি কর মামলার শুনানি এখনও চলছে। এখনও হয়নি সাজা। ফলত নিষ্পত্তি ঘটেনি মামলার। তবে বিচার পেয়েছেন গিসেল পেলিকট। তাঁর স্বামী ডমিনিক পেলিকটকে ২০ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছে ফ্রান্সের একটি আদালত।
ঘটনাটা ঠিক কী?
২০১০ সালে সর্বপ্রথম পুলিশি হেফাজতে পড়েন ডমিনিক পেলিকট। বাজারে গিয়ে মহিলাদের ছবি তোলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তবে সামান্য কিছু জরিমানার ভিত্তিতে পরে ডমিনিককে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর ঠিক দশ বছর পর ২০২০ সালে, ফের একবার মহিলাদের কুরুচিকর ছবি তোলার জেরে গ্রেফতার হন তিনি। আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি। ডমিনিকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে তার কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। আর সেটি অন করতেই মাথা হাত উর্দিধারীদের।
৭২ বছরের ডমিনিকের কম্পিউটার ঘেঁটে তার স্ত্রী গিসেল পেলিকটের ২০ হাজার ধর্ষিত হওয়ার ছবি ও ভিডিয়ো পায় পুলিশ। সেই মুহূর্তেই খবর দেওয়া হয় গিসেলকে। ৫০ বছরেরও বেশি দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন এক সঙ্গে। ফলত, প্রথম ধাপে কোনও মতেই খবরটা গিলতে পারেননি গিসেল। দশক ধরে স্বামী যে তার উপর অচেতন অবস্থায় অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছেন এটা দেখেই হতভম্ব হয়ে যান তিনি। মাদক খাইয়ে যে এই নির্যাতন চালাত ডমিনিক এমনটাই অনুমান করছে তদন্তকারীরা।
এরপরেই স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন গিসেল। জনসমক্ষেই আদালতে আর্জি করেন যেন তাঁর পরিচয় গোপন না রাখা হয়। দীর্ঘদিন চলার পর বৃহস্পতিবার সেই মামলাতেই রায় ঘোষণা করেছে ফ্রান্সের আদালত। ডমিনিক ছাড়া দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ২০ জন। তবে এই নির্যাতন কাণ্ডে যে গোটা পঞ্চাশেক ব্যক্তি জড়িত আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।