WHO Chief Scientist on Vaccine: ‘ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও কার্যকরী টিকা’, ভ্রান্ত ধারণা দূর করলেন WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী
WHO Chief Scientist on Vaccine: করোনা টিকাপ্রাপ্ত, এমনকি বুস্টার ডোজ় প্রাপ্ত ব্যক্তিরাও নয়া ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জেনেভা: যারা টিকা (Unvaccinated) নেননি, তারাও যেমন ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্টে (Omicron Variant) আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনই আবার করোনা টিকাপ্রাপ্ত (Vaccinated), এমনকি বুস্টার ডোজ় (Booster Dose) প্রাপ্ত ব্যক্তিরাও নয়া ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌমা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan) জানালেন যে, ওমিক্রন রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ নয় করোনা টিকা। তিনি বলেন, “একাধিক দেশে টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও, সেখানে সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করছে না। ফলে ভ্যাকসিনগুলি যে কার্যকরী, তা বোঝাই যাচ্ছে।”
টি-সেলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন বুধবার টুইটে লেখেন, “ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টি সেল (T-Cell) ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে। এটাই আশা করা হয়েছিল। এই টি সেলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই আমাদের গুরুতর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। সুতরাং এখনও যদি কেউ ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন, তবে শীঘ্রই করোনা টিকা নিন।”
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমিত হলে বা করোনা টিকা নেওয়ার পরই শরীরে এই টি সেলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
টিকার কার্যকারিতা:
করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কীভাবে ভ্যাকসিন কাজ করে, তা বোঝাতে গিয়ে বুধবার সৌমা স্বামীনাথন জানান, করোনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন টিকার কার্যকারিতায় সামান্য ফারাক থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের তালিকায় যে টিকাগুলি রয়েছে, তা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অবধি সংক্রমণ ও মৃত্যু থেকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়া বিভিন্ন জৈবিক কারণের উপরও করোনা টিকার কার্যকারিতা নির্ভর করে। এই বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে সৌমা স্বামীনাথন বলেন, “বয়স, শরীরের অন্যান্য রোগের উপরও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ভর করে। আমরা সবাই জানি যে যত বয়স বাড়ে, ততই শরীরে লুকিয়ে থাকা রোগ ও কো-মর্ডিবিটি প্রকাশ পায়। ফলে বয়স্কদের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।”
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস:
এখনও অনেক তথ্য অজানা:
মাত্র এক মাস আগে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রথম খোঁজ মিলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টটির কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজন বা মিউটেশন হয়েছে এবং এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় তিনগুণ বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর করোনা টিকা এবং সংক্রমণ কতটা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে, সে বিষয়ে এখনও অনেক তথ্যই অজানা রয়েছে। হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন এ প্রসঙ্গে বলেন, ” বিশ্ব জুড়ে হঠাৎ করে সংক্রমণের বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, কারণ টিকাপ্রাপ্ত এবং যারা এখনও টিকা নেননি, সকলেই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে কোনও দেশেই ওমিক্রন আক্রান্তদের সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ না করায়, টিকা কার্যকর বলেই মনে করা হচ্ছে। এখনও এই বিষয়ে অনেক তথ্য জানা বাকি।”