জেনেভা: করোনা ভাইরাস এখনও গোটা বিশ্বের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট চিন্তায় ফেলছে বিশেষজ্ঞদেরও। এ বার বিশ্বে আরও সাংঘাতিক আকার নিতে পারে কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট, এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ‘হু’-এর বিশেষজ্ঞদের অষ্টম দফার জরুরি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। আর সেখানেই এই সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অতিমারি যে বিশ্বজুড়ে এখনও একটা বড় চ্যালেঞ্জ, তা বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে ‘হু।’
হু-এর তরফে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘করোনার নতুন, অপেক্ষাকৃত ভয়ঙ্কর ভ্যারিয়েন্টের কথা বলেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হতে পারে।’ তবে করোনার চার ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ বা মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টই যে মূলত ভয়ের কারণ, তা উল্লেখ করেছে হু।
উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্প্রতি, টেডরস আধানম জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস ক্রমাগত রূপ পরিবর্তন করছে। হু প্রধান বলেন, “ডেল্টা ১১১টি দেশে ছড়িয়েছে। সারা বিশ্বে দ্রুত এই স্ট্রেনই ভয়ের কারণ হয়ে উঠবে।” জানিয়েছেন, সারা বিশ্ব এখন তৃতীয় ঢেউয়ের প্রারম্ভ পর্যায়ে। মূলত ডেল্টা স্ট্রেনের ফলেই আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে বিশ্বের একাধিক দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক দেশ যাতে অন্তত ১০ শতাংশ নাগরিকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম সতর্ক করে বলেছেন, যদি গোটা বিশ্ব একই পথে এগোতে থাকে, তবেই একই গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব দেশের মধ্যে সহযোগিতা থাকা জরুরি। আরও পড়ুন: সাতসকালে উপত্যকায় নজরদারি চারটি ড্রোনের, সেনার নজরে আসতেই পগারপার