ইসলামাবাদ: রবিবার (৯ জুন), ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, এনডিএ-র কাছে সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যা রয়েছে। এনডিএ-র নেতারা, নরেন্দ্র মোদীকেই জোটের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়ার আগেই, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ইটালির জর্জিয়া মেলোনি থেকে ব্রিটেনের ঋষি সুনক, এমনকি, বেজিও অভিনন্দন বার্তা দিয়েছে। একমাত্র বাদ পাকিস্তান। কেন ভোটের ফল বের হওয়ার পর পাঁচদিন কেটে গেলেও, মোদীকে অভিনন্দন জানালো না ভারতের এই প্রতিবেশি দেশ?
পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ জানিয়েছেন, ভারতের কে নেতা হবে, সেই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার। এই বিষয়ে পাকিস্তানের কিছু বলার নেই বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নেই। তাদের নতুন সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেয়নি। তাই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে এখনই অভিনন্দন জানানোটা অযথা তাড়াহুড়ো করা হয়ে যেতে পারে।” তবে সরকারে যেই থাকুক, ভারত-সহ সমস্ত প্রতিবেশি দেশের সঙ্গেই সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং সহযোগিতার সম্পর্ক চায় পাকিস্তান বলে, জানিয়েছেন জাহরা বালোচ। তিনি আরও জানান, আলোচনার মাধ্যমেই সকল বিরোধের সমাধান চায় ইসলামাবাদ।
ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান সবসময় সকল প্রতিবেশির সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমেই সকল বিরোধের সমাধান করতে চেয়েছে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সবসময়ই ভারত-সহ সব প্রতিবেশির সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। জম্মু ও কাশ্মীরের মূল সমস্যা-সহ সমস্ত অমীমাংসিত সমস্যার সমাধানের জন্য ধারাবাহিকভাবে গঠনমূলক আলোচনা এবং সম্পৃক্ততার কথা বলেছি আমরা।” ভারতও জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চায়। তবে, তার আগে সন্ত্রাস ও শত্রুতামুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে ইসলামাবাদকে।
চলতি বছরের শুরুতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমরা কখনই আমাদের দরজা বন্ধ করিনি। প্রশ্ন হল কী নিয়ে কথা বলব। যদি কারও ঘরে এত সন্ত্রাসবাদী শিবির থাকে, তাহলে সেটাই কথোপকথনের কেন্দ্রীয় বিষয় হওয়া উচিত।”