ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। জানুয়ারি মাসের আগে তাঁর জেল থেকে বেরোনোর কোনও সম্ভাবনা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে খুনের চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব বিশ্বের নানা প্রান্ত। এবার বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিকই প্রশ্ন তুললেন চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে। তাঁর যুক্তিতে প্রশ্ন উঠল ইউনূস সরকারের মতলব নিয়েও।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সে দেশের সংখ্যালঘু, সনাতনপন্থীদের অভাব-অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া আন্তরিকভাবে শুনতে পারেননি। বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী অভ্যুত্থানের পর সনাতনপন্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
একটি সাক্ষাৎকারে সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার প্রশ্ন করেন, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করার যুক্তি কি? চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আমার কোনোভাবেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মনে হয়নি। আমার যা জানা, তাতে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করার আইনি ভিত্তিটা কি?”
এই প্রশ্ন করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকেই সরাসরি এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার। তাঁর মতে, এর পিছনে রাজনৈতিক উসকানি রয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করে আসলে বাংলাদেশকেই বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই মহম্মদ ইউনূসের সামনে উষ্মা প্রকাশ করেন ফরহাদ মজহার। সর্বধর্মের বৈঠকে কেন সনাতনী প্রতিনিধি নেই, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও ইউনূস সরকারের কাজে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মিশে তাঁদের ক্ষোভ দুঃখ দাবি দাওয়া শোনা উচিত ছিল প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। কার্যত ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুরই শোনা যায় বাংলাদেশী সাহিত্যিক ফরহাদ মজহারের কণ্ঠে।