ইসলামবাদ: অপ্রত্যাশিত ফল হতে চলেছে পাকিস্তানে। জেলে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দলের নির্বাচনে লড়াইয়ের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বেগুন প্রতীকে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ভোটে চমকে দেওয়া ফল করতে চলেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দল। যে কয়টি আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নওয়াজ শরিফের পিএমএল(এন) এবং পিটিআইয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। কিন্তু, এগিয়ে থাকার প্রেক্ষিতে নওয়াজের দলকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন ইমরান খান। শেষ খবর অনুযায়ী, তাঁর দল ১৫০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ন্যূনতম ১৩৩টি আসন। শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে তাঁর দল জয়ী হয়, তাহলে কী হবে? জেল থেকেই সরকার চালাবেন তিনি? নাকি জয়ের পর জেল থেকে ছাড়া পাবেন?
সম্প্রতি, অবৈধ বিবাহের জেরে ইমরান খানের সরকারি অফিসে থাকার উপর দশ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ, ২০৩৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। আদালতের রায়ে, পিটিআই দল তাদের ঐতিহ্যবাহী নির্বাচনী প্রতীক, ক্রিকেট ব্যাটও হারিয়েছে। এরপরও যদি ইমরান খানের দল সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা বাজিমাত করতে পরেন, তাহলে তারা একত্রিতভাবে এক নতুন সরকার গঠন করতে পারবে। যদি ইমরান সমর্থিত নির্দলদের হাতে সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকে, সেই ক্ষেত্রে তাঁরা অন্য দলের সঙ্গে জোট বেঁধেও সরকার গঠন করতে পারবে। তবে, শুধু ইমরান একাই নন, তাঁর প্রধান সহযোগীরাও জেলে কিংবা আত্মগোপন করে আছেন। পিটিআই দলের নেতৃত্ব এখন গোহর আলি খান নামে এক স্বল্প পরিচিত আইনজীবী হাতে রয়েছে। ফলে, ইমরানের বদলে প্রধানমন্ত্রী কতে হবেন, সেটাও বড় প্রশ্ন।
এই ক্ষেত্রে কিন্তু, আইনের একটা ফাঁক রয়েছে। যে ফাঁক দিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন ইমরান। তিনটি মামলায় ইমরান খানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সাজা প্রত্যাহারের জন্য নতুন সরকার আদালতে যেতে পারে। ইমরান খানের সরকারি অফিসে পদ গ্রহণ করা বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রত্যাহার করার জন্য পাকিস্তানের নির্বাচনী সংস্থার কাছে আবেদনও করতে পারে তারা। সেই ক্ষেত্রে ইমরান জেল থেকে বেরিয়ে এসে ফের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।