Covid-19 আসার ঠিক আগেই ভয়ঙ্কর কাজ চলছিল চিনের গবেষণাগারে, দাবি মার্কিন তদন্তকারীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 12, 2023 | 12:52 AM

Wuhan institute Covid pandemic: কোভিড মহামারির সূচনাটা হয়েছিল চিনের উহান শহর থেকে। যে শহরে ভাইরাস নিয়ে কাজ করা চিনের অন্যতম সেরা গবেষণা কেন্দ্র, 'উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি' অবস্থিত। মহামারিটি বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করার পর থেকে বহুবার, এর উৎস নিয়ে চিনের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।

Covid-19 আসার ঠিক আগেই ভয়ঙ্কর কাজ চলছিল চিনের গবেষণাগারে, দাবি মার্কিন তদন্তকারীদের
কী চলছিল উহানের পরীক্ষাগারে?

Follow Us

বেজিং: কোভিড মহামারির সূচনাটা হয়েছিল চিনের উহান শহর থেকে। যে শহরে ভাইরাস নিয়ে কাজ করা চিনের অন্যতম সেরা গবেষণা কেন্দ্র, ‘উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’ অবস্থিত। মহামারিটি বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করার পর থেকে বহুবার, এর উৎস নিয়ে চিনের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। তত্ত্ব রয়েছে, উহানের গবেষণাগার থেকেই কোনওভাবে এটি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। এর কোনও প্রমাণ না পাওয়া গেলেও, সম্প্রতি এক প্রথম সারির চিনা বিজ্ঞানীও জানিয়েছেন, এই তত্ত্বটি বাদ দেওয়া যায় না। এবার অভিযোগ উঠল, কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের কয়েক সপ্তাহ আগে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে নাকি একটি ‘জৈব ভাইরাস অস্ত্র’ তৈরির কাজ চলছিল উহানের ওই গবেষণাগারে।

শনিবার (১০ জুন), প্রথম সারির এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনা বিজ্ঞানীরা উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে একটি গোপন বিপজ্জনক পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন। যা থেকেই সম্ভবত ভাইরাসটি ফাঁস হয়ে গিয়ে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সূচনা হয়েছিল। একদল মার্কিন তদন্তকারীকে উদ্ধৃত করে, ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই পরীক্ষা সম্পর্কে কোথাও কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কারণ, এটি চিনা সামরিক নিয়ন্ত্রণে, তাদের অর্থায়নে হয়েছিল এবং একটি মিউট্যান্ট ভাইরাস তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছিল জৈবাস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মার্কিন তদন্তকারীদের মতে, ২০১৯ সালের শেষের দিকের মাসগুলিতে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে কোনও গোপন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। ঠিক তার আগে দক্ষিণ চিনের কিছু বাদুড়ের গুহা থেকে সংগ্রহ করা করোনভাইরাসগুলির উপর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল একই গবেষণাগার থেকে। কিন্তু, ইউনান প্রদেশের মোজিয়াংয়ের একটি খনিতে করোনাভাইরাসের একটি স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল। ওই স্টেনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকেই গবেষণার ফল প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিল উহান ইনস্টিটিউট। ওই ভাইরাসটি ছিল, মহামারির আগে পাওয়া কোভিড ভাইরাসের সবথেকে কাছের স্ট্রেন। মার্কিন তদন্তকারীদের দাবি, পরবর্তী সময়ে ওই স্ট্রেন ইনস্টিটিউটে নিয়ে গিয়ে গোপন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা শুরু হয়েছিল। কারণ তখন থেকেই গোপনীয়তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছিল ওই গবেষণাগারের কাজকর্ম। একই সঙ্গে তারা ভাইরোলজিক্যাল জৈবাস্ত্র এবং ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করেছিল।

মার্কিন তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, ওই পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছিলন, সেই গবেষকদের ২০১৯-এর নভেম্বরে কোভিড-এর মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এর থেকে মার্কিন তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত পরীক্ষাগারে তারা করোনভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিল এবং তার থেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছিল। কারণ অসুস্থ হয়ে পড়া বিজ্ঞানীরা সকলেরই বয়স ছিলেন ত্রিশ-চল্লিশের ঘরে। প্রত্যেকেই প্রশিক্ষিত জীববিজ্ঞানী। চিনা হাসপাতালের সরকারি নথিতে বলা আছে, তাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। মার্কিন গবেষখরা প্রশ্ন তুলেছেন পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ বছরের বিজ্ঞানীরা কীকরে ইনফ্লুয়েঞ্জায় এত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন? তার উপর, গত মাসেই চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রাক্তন প্রধান, জর্জ গাও বলেছেন ‘ল্যাব লিক’ অর্থাৎ উহানের গবেষণাগার থেকে ভাইরাসটি ফাঁস হওয়ার তত্ত্বটি বাদ দেওয়া যায় না। কাজেই ফের আঙুল উঠছে সেই উহানের পরীক্ষাগারের দিকেই।

Next Article